প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৫ সেপ্টেম্বর,,
শুক্রবার ৫ সেপ্টেম্বর ছিল আরবি ১২ রবিউল আউয়াল । ইসলাম ধর্ম মতে এই দিনেই মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক তথা বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে পরিচিত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাই এই দিনটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন। এই দিনটি ফাতেহা ওয়াজ দহন হিসেবে পরিচিত এবং ইসলাম ধর্ম প্রান্তের একাংশ এই দিনটিতে ঈদে মিলাদুন্নবী তথা আনন্দ উৎসব উদযাপনের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। প্রতিবছরই আমাদের রাজ্যে নবীর জন্মদিন তথা ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা করে ত্রিপুরা গাউছিয়া সমিতি। এবারো গাউছিয়া সমিতির উদ্যোগে এদিন সকালে আগরতলা ইন্দ্রনগর সৈয়দ ইউসুফ শাহের দরগা শরীফের সামনে থেকে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের হয়। জাতীয় পতাকা এবং “আই লাভ মুহাম্মদ”এর প্লে কার্ড হাতে নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা শোভাযাত্রা বের করেন। এই শোভাযাত্রায় ছোট শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের লোকেরা অংশগ্রহণ করেন। মিছিলের নেতৃত্ব ছিলেন আগরতলা গাউছিয়া কমিটির সভাপতি আব্দুল বারিক, সম্পাদক মোহাম্মদ জনাব আলী,ইন্দ্রনগর জামে মসজিদের ইমাম মোঃ নজরুল ইসলাম কাদেরী, অ্যাডভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান খাদীম, বিশিষ্ট সমাজসেবী মুফতি মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সহ অন্যান্যরা। ছিলেন ত্রিপুরা সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিকো মেরে চেয়ারম্যান জসীমউদ্দীন, তিপড়া মথা দলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান শাহ আলম ।
ভিডিও দেখতে প্লে বাটনে ক্লিক করে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
মিছিলটি অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে আগরতলা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে এবং পরে ইন্দ্রনগর মসজিদে এসে শেষ হয়। ইন্দ্রনগর মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশেষ দুয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে বিশেষ তবরুক খাওয়ানো হয়। গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু মুসলিম অংশের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য নিয়ছিল।
পশ্চিম নোয়াবাদী:

একইভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাতটায় পশ্চিম নোয়াবাদী গাউছিয়া সমিতি এবং মুসলিম যুব কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের হয়। মিছিলটি লাড্ডু চৌমুহনী নাসির উদ্দিনের দোকানের সামনে থেকে শুরু হয় নন্দনগর হয়ে ইন্দ্রনগরে এগিয়ে মিলিত হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন নাসির উদ্দিন খা, মুফতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, বাদল মিয়া, পান্ডব আলী সহ অন্যান্য।