প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১০ জুন,,
তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছে রবিবার। রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ৩০ জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। শপথ নিয়েছেন ৫ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ ৪১ জন প্রতিমন্ত্রী। তার মধ্যে বিজেপি দলের থেকে মন্ত্রী রয়েছেন ২৫ জন। ৪১ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে বিজেপি দলের রয়েছে ৩৫ জন। কিন্তু এই ৬০ জন মন্ত্রীর মধ্যে(বিজেপি দলের) ত্রিপুরার কোন প্রতিনিধি জায়গা পাননি।
ত্রিপুরা বাসীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক হলো মোদির মন্ত্রিসভায় বাদ পড়লেন ত্রিপুরার প্রতিনিধি। উত্তর পূর্বাঞ্চলের আসাম থেকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়ালকে। দুই আসন বিশিষ্ট গোয়ার মত ছোট্ট রাজ্য থেকেও শ্রীপদ যশো নায়ককে মন্ত্রী করা হয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা থেকে ছয় লক্ষ এবং চার লক্ষ ভোটের অধিক ভোটে জয়ী হয়ে দুই জন সাংসদ হলেও কাউকে মন্ত্রী করা হয়নি। বিশেষত ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ৬ লক্ষ ১১ হাজারের রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেছেন পশ্চিম ত্রিপুরা আসন থেকে। রাজ্যের জাতি জনজাতি এবং সর্ব অংশের মানুষ তাকে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। রাজ্যবাসীর ধারণা ছিল বিপ্লব কুমার দেবকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে। এ নিয়ে জোরালো দাবিও উঠেছিল। কিন্তু ৯ জুন বিজেপির মন্ত্রিসভায় শপথ নিতে পারলেন না বিপ্লব কুমার দেব। কারণ মন্ত্রীর তালিকায় তার নাম নেই। ত্রিপুরার কাউকে মন্ত্রী না করার বিষয়টি রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক মহলে অসন্তোষ তৈরি করেছে। যদিও একাংশের দাবি এবারও বিপ্লব দেব ত্রিপুরায় নিজের ঘরের লোকেদের দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তার মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। কিন্তু রাজ্যের স্বদলীয় একাংশ ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে আপাতত সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখে দেয়। এই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ত্রিপুরার জনগণের সার্বিক ক্ষতি করছে বলেই তথ্যবিজ্ঞ মহলের দাবি।
(পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের সাংসদ প্রার্থী হিসেবে বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যে আসার পর, তিন মাস আগের একটি ভিডিও এই প্রতিবেদনের সাথে তুলে ধরা হলো,,,)