Home ত্রিপুরার খবর আগরতলা খবর ঐতিহাসিক চুক্তিতে গ্রেটার তিপড়াল্যান্ডের খবর নেই ! ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেই ক্ষুধা নিবারণের পথ...

ঐতিহাসিক চুক্তিতে গ্রেটার তিপড়াল্যান্ডের খবর নেই ! ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেই ক্ষুধা নিবারণের পথ খুঁজলেন মহারাজ।

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২ মার্চ,,

গ্রেটার তিপড়াল্যান্ডের যে দাবি নিয়ে তিপড়া মথার গোড়াপত্তন করেছিলেন মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন সেই তিপড়া ল্যান্ডের কোনো আলোচনাই হয়নি শনিবার দিল্লির বৈঠকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহার উপস্থিতিতে ত্রিপাক্ষিক কমিটি গঠন করে জনজাতি অংশের সমস্যার সমাধানে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ত্রিপাক্ষিক আলোচনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা এবং জনজাতি নেতা মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ভিত্তিতে আগামী দিনে কার্যকরী কমিটি গঠিত হবে। সেই কমিটি জনজাতি অংশের উন্নয়নে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাজ করবে। ইতিমধ্যেই সেই ত্রিপাক্ষিক চুক্তির প্রতিলিপি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে আগামী দিনে এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জনজাতি অংশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনে উদ্যোগী হবে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী দিনে একটি কার্যকরী কমিটি গঠিত হবে।

এই চুক্তির পর সাংবিধানিক সমাধানের দাবিতে ডাক দেওয়া আমরণ অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেছেন আগামীকাল বড়মুড়ার হতাই কতরে এসে অনশন প্রত্যাহার করবেন।

এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তিকে ঐতিহাসিক সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে একাংশ মথা নেতৃত্ব সহ সহজ সরল উপজাতি অংশের মানুষের মধ্যে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এতটুকুই কি চেয়েছিলেন মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন? বুবাগ্রা এই চুক্তির স্বপ্নই কি দেখিয়েছিলেন রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ের সহজ সরল উপজাতি অংশের মানুষদের ? কারণ পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের বিষয়টি বাদ দিলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার তাদের শাসনকালে শুরু থেকেই রাজ্যের উপজাতি অংশের উন্নয়নে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চলছে। বিজেপি জোট জামানায় কোন কিছু মুখ খুলে দাবী করার আগেই পেয়ে যাচ্ছেন জনজাতি অংশের মানুষ। রাজ্যের একমাত্র বিমানবন্দরের নাম ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের নামে করে দেওয়া হয়েছে। উপজাতিদের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন। এমনকি সদ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে উপজাতিদের উন্নয়নের জন্য এডিসি এলাকায় সরাসরি অর্থ বরাদ্দের চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ করেছে বিজেপি জোট সরকার। চাহিদার আগেই গ্রাম পাহাড়ে জন জাতিদের উন্নয়নে সরকার যখন একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন কেন তিপড়া ল্যান্ডের নামে সাধারণের ভাবাবেগ উসকে দিয়ে রাজনীতির মাঠে নামানো হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে এদিনের ত্রিপাক্ষিক চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার ভূমিকার সাধুবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে এই চুক্তির পর মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন সাংবাদিকদের জানান “এটা মাত্র শুরু হয়েছে, শেষ নয়। ” তিনি তিপ্রাসাদের খুশি হতে বললেও খুব বেশি আনন্দিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে উপদেশ করেছেন। মহারাজ এই চুক্তির জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version