সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,২৩ ডিসেম্বর,,
রাজধানীর আশপাশ সহ গোটা রাজ্যে বাড়ছে গরু চুরির ঘটনা। চোরের দল গৃহস্থের গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে গাড়িতে তুলে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে সেসব গরু কখনো বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে তো আবার রাজ্যেই অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ক্রমাগত গরু চুরির ঘটনা বাড়লেও চোর চক্রকে ধরতে কিংবা গরু চুরির ঘটনা রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসনের এই ব্যর্থতায় শুক্রবার ফের চুরির ঘটনা ঘটে আমতলী থানা এলাকায়। এক রাতে তিন গৃহস্থের বাড়ি থেকে পর পর ছয়টি গরু চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ । এদিন রাতে আমতলী থানার অন্তর্গত কুড়ি পুকুর এলাকার পূর্ব পাড়ায় শুক্রবার তিন জন গৃহস্থের বাড়ি থেকে মোট ছয়টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। পূর্ব পাড়া এলাকার হরেন্দ্র সরকার, সুধাংশু সরকার এবং প্রণব সরকারের বাড়ি থেকে শুক্রবার গভীর রাতে গরু চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ।
একাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ির লোকজন রাতে চুরির ঘটনা টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে খোঁজাখোজ শুরু করেন এবং পুলিশকে খবর জানান। কিন্তু একটি ক্ষেত্রেও পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে চুরির গরু উদ্ধার করতে পারেনি। অন্যদিকে একই থানা এলাকার মধুবন ,ঝরঝরিয়া এলাকাতেও একাধিক গরু চুরির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কোথাও চুরির ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশের কোন সাফল্য নেই। পুলিশের এহেন ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কারণ গরু চুরির পর চোর গাড়িতে তুলে জাতীয় সড়ক এবং বাইপাস সড়ক গুলি দিয়ে চুরির গরু নিয়ে যায়। সবকটি রাস্তাতেই পুলিশের একাধিক নাকা পয়েন্টে তল্লাশি সহ পুলিশ টহলের ব্যবস্থা রয়েছে। তাহলে রাতের বেলা চোর কিভাবে রাস্তার উপর দিয়ে চুরির গরু নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে এবং পুলিশ তখন ঠিক কি ভূমিকায় থাকছে তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । অভিযোগ গরু চোরের দলের সাথে বিভিন্ন থানার পুলিশের গোপন রফা রয়েছে এবং সেই রফার ভিত্তিতেই পুলিশ চুরির গরু বোঝাই গাড়ি ছাড় দিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ চোরের এই মিতালীতে ক্রম বর্ধমান গরু চুরির ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গো-পালকরা।