সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,২৪ ডিসেম্বর,,
উদয়পুর রাইয়াবাড়ীর পর এবার আগরতলা শহরে বিটারবনে সংখ্যালঘু বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ সরকারি খাস জমি দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে শাসক দলের এক সংখ্যালঘু যুবনেতার নেতৃত্বে একদল যুবক বিটারবনে রিক্সাচালক আক্তার মিয়ার ঘর ভেঙে দেয়। আক্তার মিয়া গত ১৫ বছর যাবত এই জমিতে ঘর বানিয়ে নিজের স্ত্রী এবং ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে দিনযাপন করছিলেন। সরকারি খাস জমি খালি করার জন্য ইতিপূর্বে এক দুবার প্রশাসনিকভাবেও নোটিশ পেয়েছেন আক্তার মিয়া। সময়মতো তিনি উঠে যাবেন বলে প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন গরিব রিক্সাচালক। এর মধ্যেই এই সরকারি জমির প্রতি নজর পড়ে ভাজপা নেতা ফারদিন ইসলাম, ইমান আলীর মতো কয়েকজনের। তারা শাসক দলের প্রভাব খাটিয়ে এই সরকারি জমিতে বিয়ে বাড়ি তৈরি করে ব্যবসা করতে চাইছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। অভিযোগ ফারদিন ইসলাম ,ইমান আলীর নেতৃত্বে একদল যুবক রবিবার সকালে আক্তার মিয়ার বাড়িতে এসে ঘর ভেঙ্গে দেয়। সেই সময় আক্তার মিয়ার স্ত্রী নিজের ছোট ছেলেকে খাবার দিয়েছিলেন। অভিযোগ সেই খাবার লাথি মেরে ফেলে দেয় ফারদিন ইসলাম । অবিলম্বে জায়গা খালি না করলে তারা বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
পরে আশপাশের লোকজন এসে প্রতিবাদ করলে হামলাবাজরা পালিয়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাতে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অসহায় আক্তার মিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন স্থানীয় লোকজন। প্রসঙ্গত দুদিন আগে উদয়পুর রাইয়াবাড়িতে বন বিভাগের সরকারি জমিতে সংখ্যালঘু বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার মত অভিযোগ রয়েছে শাসক দল সমর্থিত একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে। পুলিশের সামনেই সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আগরতলা শহরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক মহলের অভিমত সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে প্রশাসন এবং তাদের নিজস্ব এনফোর্সমেন্ট টিম রয়েছে। সেইখানে আইন হাতে তুলে শাসকদলের পরিচয়ে এই ধরনের হামলার ঘটনা সুস্থ নাগরিক সমাজ মেনে নিতে পারছে না।