প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,,আগরতলা,, ১৫ আগস্ট,,
১৫ই আগস্ট দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে দিনটি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজ্যে মূল অনুষ্ঠান হয়, আসাম রাইফেলস মাঠে। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। পরে ত্রিপুরা পুলিশ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো প্যারেড প্রদর্শন করে। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নাগরিক মহলে উৎসাহ লক্ষ্য নিয়েছিল।
অন্যদিকে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু ও মন্ত্রী রতল লাল নাথ প্রথমে সার্কিট হাউস গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পুষ্প অর্পণ করেন। পরে আগরতলা গান্ধী ঘাটের শহীদ বেদীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আগরতলা কংগ্রেস ভবনের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক তথা কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য সুদীপ রায় বর্মন, প্রদেশ সভাপতি আশীষ কুমার সাহা সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সভাপতিরা । অনুষ্ঠানে ছিলেন অন্যান্য নেত্রী এবং কর্মীবৃন্দ।
আগরতলা প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সভাপতি সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য।
৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগরতলা পুর নিগমের অফিস কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মেয়র দীপক মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন পুর কমিশনার শৈলেন যাদব সহ অফিসের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।
রাজ্য সচিবালয়ে ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসে সিপি আই এম রাজ্য দপ্তরে পতাকা উত্তোলন করেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী।
পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ।
ভারতবর্ষের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।
এছাড়া দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সভাপতি মনোজ কান্তি দেব। এছাড়া রাজ্যের সর্বত্রই সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ,বাজার কমিটি এবং নাগরিকরা নিজেদের বাড়িঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন।