আগরতলা,, ১২ জানুয়ারি,, শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইন্টিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ত্রিপুরা শাখার মিশন ডিরেক্টর ডি কে চাকমা সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক। পাশাপাশি এদিনের এই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শামিল হয়েছিলেন ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী ড: মনসুক মান্ডব্বুইয়া, কেন্দ্রীয় সরকারের সার এবং রসায়ন মন্ত্রকের রাজ্য মন্ত্রী ভগবনথ খুব্বা, আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর হিমন্ত বিশ্বাস শর্মা প্রমূখ। এদিন প্রজ্ঞা ভবনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাজ্যের উত্তর, উনাকোটি ও গোমতি জেলার জন্য ইন্টিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।ত্রিপুরার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মনিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ড রাজ্যে আরো ছয়টি ইন্টিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় এদিন।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা বললেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের জনগণের জন্য বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী জনজাতি অংশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে কাজ করছেন। অত্যাধুনিক এই ল্যাবরেটরীগুলি রাজ্যের তিনটি জেলাতে প্রাথমিকভাবে স্থাপন করার জন্য এদিন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও, আগামী দিনে রাজ্যের আট জেলাতেই এই ধরনের ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে।ইন্টিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে এখন থেকে দ্রুত পরীক্ষা, রোগ শনাক্তকরণ, রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করার ব্যবস্থাপনা করা হবে। এর ফলে জেলা পর্যায়ে রোগ নিরীক্ষণ, নির্ণয় এবং চিকিৎসার উন্নতি সাধনে কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন পরীক্ষাগারকে এক ছাদের নীচে নিয়ে আসা হবে, যার ফলে জনস্বাস্থ্য পরীক্ষণ আরও সম্পূর্ণ এবং সঠিক হবে। এটি এমন একটি আধুনিক পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত যা স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন জটিল রোগের পরীক্ষা করা হবে এবং সেই সঙ্গে দ্রুত ফলাফল প্রদান করতে সক্ষম হবে। এর থেকে কোনও একটি রোগের মহামারী বা জরুরি অবস্থার সময় দ্রুত রোগ নির্ণয় হবে। ইন্টিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ লেবোরেটরিতে উন্নত ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে রোগের প্রবণতা, রোগ প্রতিরোধের নিদর্শনগুলি পর্যবেক্ষণ করে জনস্বাস্থ্য সম্বন্ধীত সিদ্ধান্ত গ্রহণে তথ্য সরবরাহ করা হবে।