সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১২ জানুয়ারি,,
কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পে বছরের পর বছর অর্থ পাচ্ছে না ত্রিপুরার বিজেপি জোট সরকার। নেতা-মন্ত্রীদের মুখে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের গল্পের ফাঁসুন ফুটো করার মত এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে খোদ বিধানসভার ভেতরে। রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে সরকারি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা আসছে না বলে সেই প্রকল্পের লোক নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। এক কিংবা দুই বছর নয় ; সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ২০২০ সাল থেকে গত চার বছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় এসপিকিউইএম প্রকল্পে কেন্দ্র থেকে কোন টাকা পায়নি ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। টাকা পায়নি বলে সেই প্রকল্পে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারছে না রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত রাজ্যে দীর্ঘ বছর যাবত এসপিকিউইএম কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় যাবত প্রকল্পের শিক্ষকরা অনিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। প্রকল্পের অধীন ১২৯টি মাদ্রাসার ৩৪৮ জন শিক্ষকের গত চার মাস যাবত অর্ধেকের বেশি বেতন বকেয়া রয়ে গেছে। মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষকের প্রচন্ড অভাব থাকলেও সেখানে নতুন নিয়োগের কোন উদ্যোগ নেই সরকারের। রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত মাদ্রাসা নিয়ে ত্রিপুরার ত্রয়োদশ বিধানসভার তৃতীয় অধিবেশনে বিভাগীয় মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন সিপিআইএম বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন। এসপিকিউইএম মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক একাধিক প্রশ্নের উত্তরে সরকার পক্ষ জানিয়ে দিয়েছে ২০২০ সাল থেকে কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পে টাকা আসছে না বলে প্রকল্পে নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো ধরনের সম্ভাবনা নেই। যদিও বিধায়ক ইসলাম উদ্দিনের প্রশ্নে এসপিকিউইএম মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন নিয়মিত করন সহ বেতন ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের কি পরিকল্পনা রয়েছে তা নিয়ে কোন প্রশ্ন দেখা যায়নি।