প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৪ সেপ্টেম্বর,,
‘একটা সময় উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের সাথে দূরত্ব ছিল দিল্লির। মোদিজীর নেতৃত্বাধীন সরকার সেই দূরত্ব দূর করতে পেরেছে। সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে দিল্লির সাথে উত্তর পূর্বাঞ্চলের দূরত্ব কম করার পাশাপাশি মোদিজি মানুষের হৃদয়ের দূরত্বও দূর করতে পেরেছেন। এই জন্যই মোদিজীর শান্তির বার্তায় আজকে এই ধরনের সমঝোতা স্বাক্ষরিত হতে চলছে। আজকের এই সমঝোতা আগামী দিনে বিকশিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল তৈরি করার ক্ষেত্রে মাইলস্টোন হিসেবে পরিগণিত হবে।’ বুধবার দিল্লির বুকে ত্রিপুরার নিষিদ্ধ বৈরী সংগঠন এন এল এফ টি এবং এটিপিএফ-র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঠিক এভাবেই নিজের বক্তব্য রাখেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির নর্থ ব্লকে অনুষ্ঠিত এই সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা, পশ্চিম ত্রিপুরার সংসদ বিপ্লব কুমার দেব, মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন, বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, স্বরাষ্ট্র সচিব, কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অধিকর্তা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক এবং দুই বৈরী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আত্মসমর্পণকারী বৈরী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা উত্তর পূর্বাঞ্চলের শান্তি স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন গত ১০ বছরে উত্তর পূর্বাঞ্চলের শান্তি স্থাপনে যে গুরুত্বপূর্ণ ১২ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে ৩টি রয়েছে ত্রিপুরার জন্য। তাতে করে ত্রিপুরার মানুষ বিশেষত জনজাতির ভাই-বোনরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত এই সমঝোতার ফলে ১০ হাজারের বেশি জঙ্গি বিগত দিনে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এদিনের সমঝোতা চুক্তির ফলে ৩২৮ জনের বেশি সশস্ত্র বৈরী সদস্য অস্ত্র ছেড়ে সপরিবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন আগামী দিনে ঘোষিত প্রকল্প অনুযায়ী তাদেরকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। ত্রিপুরার দীর্ঘদিনের আতঙ্কের নাম ছিল এন এল এফ টি এবং এটিপিএফ এর মত জঙ্গি সংগঠন। কেন্দ্রীয় প্রচেষ্টায় এই সমঝোতায় আগামী দিনে রাজ্যের সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি উন্নতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।