সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৪ অক্টোবর,,
৬ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ এবং খুনের দায়ে অভিযুক্ত ২ যুবককে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি দিল ত্রিপুরার ধর্মনগরের বিশেষ আদালত। বিশেষ আদালতের বিচারক অংশুমান দেববর্মা ৩ অক্টোবর দুই আসামী যথাক্রমে সৌরভ চন্দ্রনাথ(১৯) এবং দিবাকর দাসকে(২২) পৃথক তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন।
২০১৯ সালের ১৭ জুন সন্ধ্যায় ধর্মনগর পদ্মপুর গ্রামে ছয় বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষণ এবং খুন হয়েছিল। অভিযোগ সৌরভ চন্দ্রনাথ (১৯) নিজের বাড়িতে ভাড়া থাকা ৬ বছরের সেই শিশুকন্যাকে চকলেটের প্রলোভন দিয়ে স্কুটিতে ঘুরতে নিয়ে যায়। পরে সৌরভ চন্দ্রনাথ এবং তার বন্ধু দিবাকর দাস(২০) মিলে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় হাফলং কার্গিল টিলায় সেই শিশুটিকে একাধিকবার গণ ধর্ষণ করে এবং খুন করে। নির্যাতিতা শিশুকন্যার মায়ের অভিযোগ মূলে ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশ সেই ঘটনায় পকসো , খুন সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে উঠে আসে সৌরভ এবং দিবাকর মিলে ছয় বছরের শিশুটিকে প্রথমে একবার ধর্ষণ করেছিল। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শিশুটি সেখানে মারা যায়। মৃত্যুর পরও মৃতদেহের ওপরও ধর্ষণ হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। প্রথমে অস্বীকার করলেও সমস্ত তথ্য প্রমাণ সামনে উঠে আসার পর অভিযুক্তরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়। মহিলা সাব ইন্সপেক্টর সঞ্চিতা নাথ তদন্তের পর ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা করেছিলেন। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে ৪১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। তিন অক্টোবর বিচারক অংশুমান দেববর্মা মামলার রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত সৌরভ চন্দ্রনাথ এবং দিবাকর দাসকে পকসো আইনে ৬০০০ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। অবুঝ শিশুর ওপর ধর্ষণ এবং নৃশংস খুনের ঘটনায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আদালতের রায় সন্তুষ্ট রয়েছেন মৃতার পরিবার সহ স্থানীয় নাগরিক মহল।