প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৫ জুন,,
“অবকি বার ৪০০ পার” । ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই ঘোষণা ছিল বিজেপির। বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলাইন্স তথা “এনডিএ” ৪০০ পারের ঘোষণার পাশাপাশি এককভাবে ৩৭০ আসন পার করার ঘোষণা দিয়েছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত বিজেপি। নির্বাচনে বিজেপির একতরফা প্রচার মুখ ছিলেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলের সর্ব প্রধান প্রচার মুখ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটের সংখ্যা বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকলেও তিনি একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি এমন কিছু বিতর্কিত এবং ঘৃণা ছড়ানো ভাষণ রাখেন যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে আগে কখনো কোন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা যায়নি। এমনকি সংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং নিজেকে “ঈশ্বরে দূত” হিসেবে দাবি করে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ৪ জুনের ফলাফলে সেই স্বঘোষিত ” ঈশ্বর দূত” নিজের দলের জন্য একক আধিপত্য নিয়ে আসতে পারেননি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ভোট গণনার শেষ পর্যন্ত ২৪০ আসন পেয়েছে( ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী)।
বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দেশে সরকার গঠনের জন্য জন্য ২৭২ আসনের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি। সরকার গঠনের জন্য বিজেপির দরকার হবে আরো ৩২ টি আসন। যদিও ইতিপূর্বে ঘোষিত বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩ আসন পেয়ে সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট হিসেবে সামনে উঠে এসেছে। কিন্তু এই জোটের একাংশ নেতা যে কোন সময় পাল্টি মারতে পারেন এই আশঙ্কায় তৃতীয় বার বিজেপি সরকার গঠন সহ মোদিজীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া এখনো সন্দেহ রয়ে গেছে। তাছাড়া এককভাবে ৩৭০ আসন পার করার ঘোষণা দিয়ে নরেন্দ্র নেতৃত্বে বিজেপির মাত্র ২৪০ আসন জয়ের ঘটনাকে অনেকে তাদের নৈতিক পরাজয় বলে দাবি করছেন। বিরোধীদের একাংশের মতে এই ফলাফলের পর নরেন্দ্র মোদির উচিত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তাফা দেওয়া। যদিও ফলাফল অনেকটা স্পষ্ট হওয়ার পর বিজেপি দলের তরফে এনডিএ সরকার গঠন সহ নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পূর্ব ঘোষনা মত ৯ জুন দেশের তৃতীয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। অন্যদিকে কংগ্রেস সহ “ইন্ডিয়া” জোট বুধবার বৈঠকের পর বড় ঘোষণা দিতে পারেন বলেন সূত্রের দাবি।
