প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২৮ মে,,
স্বর্ণকুমারের পর এবার প্রদীপ সরকার। জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফের পালিয়ে গেল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বিচারাধীন কয়েদি। পলাতক কয়েদির নাম প্রদীপ সরকার সে সময় “১০৩২৩” এর শিক্ষক ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে । তার বাড়ি তেলিয়ামুড়া মাইগঙ্গাতে। সূত্রে খবর চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা সহ জামিনদাড়ির মামলায় পুলিশের হাতে ধরা পরার পর সে বিচারাধীন আসামি ছিল। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পেটের রোগের সমস্যা অসুস্থ হওয়ার পর তাকে গত সপ্তাহে মঙ্গলবার জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জিবি হাসপাতালের মেইল মেডিসিন ওয়ার্ডে একতলার উপরে “এ” ব্লকে ৫ নাম্বার বিছানায় সে রুগী হিসেবে চিকিৎসাধীন ছিল।

সেখানে নিয়ম করে দুইজন জেল পুলিশ তথা কারারক্ষী তার নজরদারিতে থাকতেন। এছাড়াও জিবি ফাঁড়ি থানার পুলিশ তার নজরদারির দায়িত্বে ছিল। পুলিশ কর্মীদের ফাঁকি দিয়ে বেলা ২ টার পর হাসপাতালে থেকে পালিয়ে যায়। সূত্রের খবর দুপুর ২ টার পর তার নজরদারির দায়িত্ব ছিল জেল পুলিশ বাসুদেব ভট্টাচার্য এবং দীপঙ্কর দেববর্মার উপর। দুইটার আগে এই দায়িত্বে ছিলেন জেল পুলিশ তপন দাস এবং তপন দাস এবং রতন দাস। সূত্রের খবর বেলা ২ টার পর জিবি হাসপাতালের ভেতর থেকে সে পালিয়ে গেছে। মাত্র কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন কুখ্যাত স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা। সেই ঘটনায় তিনজন জেল পুলিশ দরখাস্ত রয়েছেন। পুলিশের মামলা হওয়ার পর তদন্ত চলছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জিবি হাসপাতাল থেকে ফের কয়েদী পালিয়ে গেছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জিবি হাসপাতালের ছুটে গেছেন জেল পুলিশ সহ থানা পুলিশের আধিকারিকরা।