Home ত্রিপুরার খবর আগরতলা খবর সম্প্রীতির অনন্য নজির রামনগরে : প্রয়াত বিধায়কের স্বর্গ কামনায় মোনাজাত তুললেন মুসলিম...

সম্প্রীতির অনন্য নজির রামনগরে : প্রয়াত বিধায়কের স্বর্গ কামনায় মোনাজাত তুললেন মুসলিম নাগরিকরা।

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৭ জানুয়ারি,, জাতিগতভাবে হিন্দু বিধায়কের প্রয়ানে উনার বাড়িতে গিয়ে মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুসারে দোয়া পাঠ করলেন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। সম্প্রীতির নজির সৃষ্টিকারী এই ঘটনা ত্রিপুরার ৭ রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে। ৭ রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা জননেতা সুরজিত দত্ত গত ২৭ ডিসেম্বর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছিলেন। ২৮ ডিসেম্বর বিধায়কের দেহ আগরতলা আনা হলে বটতলা মহাশ্মশানে হিন্দু রীতি মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল। রবিবার ৭ জানুয়ারি আগরতলা রামনগরে বিধায়কের বাসভবনে এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দু বিধায়কের বিদেহী আত্মার জন্য বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন।

সম্পূর্ণ মুসলিম ধর্মীয় রীতি মেনে বিধায়কের বাড়িতেই এই দোয়ার আয়োজন হয়। প্রয়াত বিধায়কের ছবির সামনে দুই হাত তুলে মোনাজাত তুলে প্রিয় নেতার বেহেশত তথা স্বর্গ প্রাপ্তির দোয়া করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন বিধায়কের একমাত্র কন্যা সহ তাঁর ভাই এবং পরিবারের লোকজন। প্রসঙ্গত বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত রামনগরের জননেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

প্রয়াত বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত

কংগ্রেস দলে থাকাকালীন সময় থেকে শুরু করে পরপর দুইবার বিজেপি বিধায়ক হওয়ার পরও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার লোকেদের ভালোবাসার পাত্র ছিলেন সুরজিৎ দত্ত। এলাকার লোকেদের অসুবিধা হলে ধর্ম বর্ণের উর্ধ্বে অভিভাবক হয়ে পাশে দাঁড়াতেন বিধায়ক তিনি। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পর এলাকার একটি অংশ উস্কানিমূলক আচরণ করে অস্থিরতা তৈরি করতে চেয়েছিল। বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত তখন নিজে রাস্তায় নেমে মাইকিং করে এলাকার সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানের ভরসা দিয়েছিলেন। এলাকার বহু সংখ্যক মুসলিম নাগরিক রয়েছেন যারা বিধায়কের এক কথায় নিজের প্রাণ কুরবান করতে রাজি ছিলেন। সেই জননেতার প্রয়ানে নিজেদের মনের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্যই এদিন ওনার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়ার আয়োজন করেছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। বিধায়কের কন্যা সহ পরিবারের লোকজন ভিন্নধর্মী লোকেদের দ্বারা এই ধরনের আয়োজনকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধের নজির হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version