Home ত্রিপুরার খবর আগরতলা খবর রানির বাজার কাণ্ডে পুলিশ সদরে ডেপুটেশন রাজ্য জমিয়তের, শান্তি রক্ষায় পুলিশি তৎপরতার...

রানির বাজার কাণ্ডে পুলিশ সদরে ডেপুটেশন রাজ্য জমিয়তের, শান্তি রক্ষায় পুলিশি তৎপরতার দাবি।

0
Oplus_131072

প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৩১ আগস্ট,,

রাজ্যে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে ধ্বংস করতে মন্দির ভাঙ্গার প্রবণতা শুরু হয়েছে। এইসব ঘটনা প্রতিরোধ করতে পুলিশ প্রশাসনকে আরো কঠোর হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাল ত্রিপুরা রাজ্য জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ। গত ২৫ আগস্ট রানির বাজার দুর্গানগরে কালী মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণহারে মুসলিম বাড়ি ঘরে হামলা হয়েছিল। গণহারে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানকার মুসলিম পরিবার গুলিকে রীতিমতো সর্বসান্ত করে দেওয়া হয়। মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর এবং মুসলিম বাড়ি ঘরে হামলা উভয় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে ত্রিপুরা রাজ্য জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ।

(ভিডিও দেখতে প্লে বাটনে ক্লিক করে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন)

জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি মুক্তির তৈয়ীবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শনিবার প্রথমে দুর্গানগর ঘটনাস্থলে গিয়ে মন্দির এবং ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম বাড়িঘর পরিদর্শন করে। সেখান থেকে তারা পশ্চিম জেলা শাসক ডাক্তার বিশাল কুমারের সাথে প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশনে মিলিত হন। সবশেষে সভাপতির নেতৃত্বে জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ পুলিশ সদর দপ্তরে গিয়ে মহা নির্দেশকের প্রতিনিধি হিসেবে পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করেন। জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ পুলিশ প্রশাসনের কাছে মোট ৩ দফা দাবি রাখে। এর মধ্যে প্রধান ছিল মন্দিরে হামরা কালকে খুঁজে বের করা এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা। সংখ্যালঘু মুসলিম বাড়ি ঘরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা। সংখ্যালঘু মুসলিম ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া। একইভাবে তারা সেই ঘটনার পর রাজ্যের আরো কিছু জায়গায় পরপর মূর্তি ভাঙার ঘটনার বিরুদ্ধে পুলিশকে আরো সক্রিয় হয়ে প্রতিরোধ করার আহ্বান রাখেন। জমিয়ত নেতৃত্ব বলেন রাজ্যের দীর্ঘ বছরের ইতিহাসে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বসবাস। কিন্তু বর্তমান সময়ে পরিকল্পিতভাবে সেই বৈচিত্রকে নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি রাজ্যের সভাপতি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জমিয়ত নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত জমিয়তের বিবরণ অনুযায়ী রানির বাজার দুর্গানগরে ৮টি সংখ্যালঘু বাড়ি সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরো অনেক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ১৩ টি গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১কোটি ৮৭লক্ষ ৮০হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জমিয়তের বিবরণ। প্রশাসনের তরফে সেই ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version