আগরতলা,,
আবহাওয়া দপ্তরের দায়িত্বহীন নির্লিপ্ত বুলেটিন, রাজ্য কৃষি দফতরের ব্যর্থতায় ‘মিধিলি’ ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হল রাজ্যের কৃষকদের। এই সময়ে মাঠ থেকে সবজি ওঠার সময় হয়েছিল। ধান কাটাশুরু হয়েছে। এই অবস্থায় এই অকাল বর্ষণের ফলে ব্যাপক কৃষিজ ফসলের ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে রাজ্যের কৃষকরা।

অতি বর্ষনের ফলে সবজি চাষ একেবারে নষ্ট হয়ে যাবার জন্য রাজ্যের বাজার সবজিহীন হয়ে পড়ার সম্ভবনাও দেখা দিয়েছে। সারা ভারত কৃষকসভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র করে জানিয়েছেন সারা রাজ্যেই এই অকাল বর্ষণের ফলে কৃষিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
তিনি বলেন ২০২১ ও ২০২২ সালের এই সময়ে একই রকম অকালবর্ষণের ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাজ্য কৃষকসভা বারবার বলা সত্বেও রাজ্য সরকার কোনো রকম সহায়তা করেনি। তিনি বলেন বক্তৃতা সর্বস্ব কৃষি দফতর গত বছরের অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন সিপাহীজলা, গোমতী , দক্ষিণ, পশ্চিম জেলা সহ রাজ্যের সমস্ত উত্তর ভাগের কৃষি ও কৃষক এই মিধিলির ফলে ব্যাপকক্ষতির মুখে পড়েছে।বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য সারা রাজ্য জুড়ে চলছে ব্যাপক জলকষ্ট। তবে বিদ্যুৎ ও কৃষিমন্ত্রকের মধ্যমনি একই আসনে বসে বাণী প্রচার করে গেলেও সমস্ত জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ফাইল ছবি
পবিত্র কর দাবি করেন এই মুহূর্তে কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে আর্থিক সহায়তা, বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদানকরে কৃষকের প্রাথমিক ক্ষতির দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তিনি বলেন ইতিমধ্যে রাজ্য কৃষকসভা কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণনির্ধারণের কাজ শুরু করেছে।তা শেষ করে শীঘ্রই সরকারের কাছে সমস্ত তথ্য জমা দেওয়া হবে।