অতিরঞ্জিত কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত নয়। বরং অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং বাস্তবসম্যত কিছু প্রতিশ্রুতির নিরিখে নির্বাচনের মাঠে নিজেদের ইশতেহারের মাধ্যমে চমক দেখালো তিপরা মথা। এমন কি ইশতেহারের প্রথমে রাখা ১৫ টি প্রতিশ্রুতি সরকার গঠনের প্রথম ১৫০ দিনের মধ্যে পূরণের ঘোষণা দিয়েছেন মথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন।
বেকারদের চাকরি। ১০৩২৩ কে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া। পিছিয়ে পড়াদের জন্য বিশেষ প্রকল্প। কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধা। স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মথার নির্বাচনী ইশতেহার ভীষণ ডকুমেন্টের নামে ত্রিপুরাকে আগামী দিনে স্বপ্নের ত্রিপুরা গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যদিও তিপরামথার ভীষণ ডকুমেন্টে নিজেদের মূল মতাদর্শকে অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে।
শনিবার আগরতলায় রাজ বাড়িতে মথা সুপ্রিমো মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মনের নেতৃত্বে তিপরা মথার নেতৃত্ব সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তাদের ভীষণ ডকুমেন্ট প্রকাশ করে। নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে প্রকাশিত মথার ভীষণ ডকুমেন্টে অনেক লোভনীয় প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে। এডিসির অধিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাজেট বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে। বঞ্চিতদের দ্রুত জমির পাট্টা বিতরণ। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে ২০ হাজার নতুন চাকরি (প্রথম ১৫০দিনে)। উপজাতিদের জন্য ইউনিভার্সিটি, স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি, এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বিধানসভায় বিল আনার কথা বলা হয়েছে।
এর বাইরেও ছাত্রদের জন্য বিশেষ ক্রেডিট কার্ড, শহর এবং গ্রামীন এলাকায় ২৪ ঘন্টা এম্বুলেন্স পরিষেবা। গরিব এবং দুস্থদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। সন্ত্রাস, দুর্নীতি বন্ধ করা। বিধানসভা কেন্দ্রিক মূল সমস্যা গুলি চিহ্নিত করে সমাধান করা। সহ বেকারদের জন্য দ্রুত নিয়োগের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন। সংখ্যালঘু এবং পিছিয়ে পড়া লোকেদের জন্য উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা সহ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। ভীষণ ডকুমেন্ট প্রকাশের পাশাপাশি সরকার গঠনের পর প্রথম ১৫০ দিনের মধ্যে ১৫ টি প্রতিশ্রুতি পূরণ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সময়ের প্রকাশিত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারের তুলনায় তিপরামথার ইশতেহার অনেকটাই লোভনীয় এবং আকর্ষণীয় বলে নাগরিকদের মধ্যে বিশেষ সারা ফেলেছে।