সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৬ মার্চ,,
‘সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীজী যতদিন কংগ্রেসে আছেন ততদিন আমি আছি কংগ্রেসেই। আমি কংগ্রেস ছেড়ে দেবো বলে একটা মহল বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এর কোন সত্যতা নেই।’ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগরতলা টাউন হলে কংগ্রেস দলের কর্মশালায় এই বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস বিধায়ক বিরজিৎ সিনহা। শুধু মুখের কথাই নয়। গোষ্ঠী কোন্দলের সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে এদিন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং বিরজিৎ সিনহাকে দেখা গেল একান্তই আন্তরিক মুহূর্তে। কংগ্রেসের দুই প্রভাবশালী বিধায়ক একজোট হয়ে এদিন কর্মী সমর্থকদের ডাক দিলেন সংগঠনকে শক্তিশালী করার। আহ্বান রাখলেন লোকসভা নির্বাচনে সামনাসামনি লড়াইয়ে নেমে শাসক দলের ভীত নাড়িয়ে দেবার। প্রসঙ্গত কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা সভাপতি অলকা লাম্বার উপস্থিতিতে বুধবার আগরতলা টাউন হল অনুষ্ঠিত হল ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের বিশেষ কর্মশালা। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমস্ত জেলা, ব্লকের নেতৃত্ব সহ কংগ্রেসের বিভিন্ন বিভাগীয় নেতৃত্বরা। টাউন হলে এই কর্মশালায় ভাষণ রাখেন দলের ইনচার্জ জেরিতা লাইফলং সহ প্রদেশ সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, বিধায়ক বিরজিৎ সিনহা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিনের কর্মশালায় কংগ্রেস দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য নিয়ছিল। সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য নিয়ছিল গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ভুলে কংগ্রেস নেতাদের ঐক্যবদ্ধতার পরিচয়। কংগ্রেস বিধায়ক বিরজিৎ সিনহার গোষ্ঠীর অনেক নেতা কর্মী সমর্থক ইতিমধ্যেই কংগ্রেস দল ত্যাগ করেছেন এবং বিজেপি দলে যোগদান করেছেন। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করবেন বিরজিৎ সিনহা। বুধবার টাউন হলে দাঁড়িয়ে সেই গুঞ্জন এবং জল্পনার অবসান ঘটালেন বিরজিৎ বাবু। তিনি বলেন অতীতেও অনেকে কংগ্রেস দল ছেড়ে এই দলে, সেই দলে গেছেন। কিন্তু পরে তারা সবাই ঘুরে কংগ্রেসে চলে এসেছেন। এখন যারা যাচ্ছেন তারাও চলে আসবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিধায়ক বিরজিৎ সিনহা।