প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৬ সেপ্টেম্বর,,
জনজাতি উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী হয়ে জনজাতিদের উন্নয়নের টাকায় লুটপাট শুরু করেছেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। শুক্রবার ত্রিপুরা বিধানসভা অধিবেশনের তৃতীয় দিনে এই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন তথ্য তুলে ধরে বলেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার স্বল্প কয়েকদিনের মন্ত্রিত্বে তিনি দিল্লিতে ছেলের নামে দামি ফ্লাট কিনেছেন। খোয়াইয়ে নিজের ছেলের নামে পেট্রোল পাম্প করেছেন। তেলিয়ামুড়া নিজের স্ত্রীর নামে পেট্রোল পাম্প করেছেন। লেম্বুছড়ায় প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করেছেন। এছাড়াও তার একাধিক সম্পত্তির হিসাব তুলে ধরেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন আরো অভিযোগ করেন উপজাতি উন্নয়নের টাকায় রাজ্যের জনজাতি বেকার যুবকদের বঞ্চিত করে অনৈতিকভাবে বিশেষ স্বার্থে বহিরাজ্যের ছেলেদের এনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে রাজ্য সরকারের সরকারি কর্মচারীদের বেতনের পরিমাণ কম সেখানে আউটসোর্সিং এর বিভিন্ন পদে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা মাসিক বেতন দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে সুদীপ বাবু আরো অভিযোগ করেন মন্ত্রী বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী এবং পুলিশ আধিকারিকদের ফোন করে কমিশন দাবি করেন। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার আয়ের সাথে ব্যয়ের হিসাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের দাবি করেছেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। একইভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতি বেকার যুবকদের স্বার্থে উপজাতি কল্যাণ দপ্তর সহ মন্ত্রীর অধীন বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে সঠিক নজরদারির দাবি করা হয়েছে। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন যখন নিজের তথ্য নির্ভর অভিযোগ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার বিরুদ্ধে তুলে ধরেন তখন ট্রেজারি বেঞ্চে থাকা সরকার পক্ষের অধিকাংশ মন্ত্রী ,বিধায়ক নীরব থেকে সেসব অভিযোগ শুনেছেন। একটা সময় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা নিজের ছেলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ডিগ্রীর বড়াই করে গোঁজামিল দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে চাইলেও একমাত্র সুধাংশু দাস ছাড়া অন্য কেউ উনার পক্ষ নেননি। মোদিজীর সবকা সাথ সবকা বিকাশের স্লোগানের মধ্যে রাজ্যে মাত্র এক বছরের এক মন্ত্রীর এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির তথ্য বিধানসভায় উঠে আসায় খোদ শাসক শিবিরে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।