Home ত্রিপুরার খবর উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার কমলো ৩.৯৮ শতাংশ: আশানুরূপ হয়নি ত্রিপুরা বোর্ডের ফলাফল !

উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার কমলো ৩.৯৮ শতাংশ: আশানুরূপ হয়নি ত্রিপুরা বোর্ডের ফলাফল !

0
Oplus_0

প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২৪ মে,,

সিবিএসই পরিচালিত বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পর এবার ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও আশানুরূপ ফলাফল হয়নি । শুক্রবার ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্যের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ফের সমালোচনা শুরু হয়েছে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক মহলে। এবছর ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার কমে গেছে ৩.৯৮ শতাংশমাধ্যমিকে পাশের হার বাড়লেও, তা মাত্র ১.৫৩ শতাংশ। প্রসঙ্গত পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশিত হয় ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। পর্ষদের সভাপতি ডঃ ধনঞ্জয় গণ চৌধুরী, সচিব সহ আধিকারিকরা সাংবাদিক সম্মেলন করে ফলাফল ঘোষণা করেন। এবছর মাধ্যমিকে ১০৮৩ টি স্কুলের ৩৩৭৩৯ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিল। মাধ্যমিকে পাস করেছে ২৯৫৩৪ জন। ফেল করেছে ৪২০৫ জনপাশের হার বিগত বছরের(৮৬.০১%) তুলনায় ১.৫৩% বেড়ে হয়েছে ৮৭.৫৪%। মাধ্যমিকে এ বছর ১৬ টি স্কুলের একজনও পাস করেননি। মাদ্রাসা মাধ্যমিক তথা আলিম পরীক্ষায় ১৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৯৯ জন।

অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকে এবছর পাশের হার কমেছে। উচ্চমাধ্যমিকে ৪০৮ টি স্কুলের ২৫৩৫০ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। এর মধ্যে পাশ করেছে ২০০৯৫ জনফেল করেছেন ৫২৫৫ জন। পাশের হার ৭৯.২৭%। গতবছর উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৮৩.৫২ %। অর্থাৎ এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ৩.৯৮ শতাংশ কমে গেছে। মাদ্রাসা উচ্চমাধ্যমিকে তথা ফাজিল পরীক্ষায় কলা বিভাগে ২২ জন পরীক্ষা দিয়ে ২২ জন পাস করেছেন। মাদ্রাসা ফাজিল থিউলজি বিভাগ ৪৯ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং ৪৮ জন পাস করেছেন। অন্যদিকে সিবিএসই-র অনুকরণে এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম ১০ জনের নাম ঘোষণা করেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি জানান অন্যান্য বছরে দেখা গেছে প্রথম ১০ জনের নাম ঘোষণার পর ছাত্রছাত্রীরা ফলাফল রিভিউ করে অনেকের নম্বর বেড়ে যায় এবং প্রথম ১০-র সংখ্যা হেরফের হয়। এজন্য এবছর ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রথম ১০ জনের নাম ঘোষণা করেনি।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version