প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,,সাব্রুম,, ১৯ নভেম্বর,,
অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে নিজের ভাতিজার গর্ভবতী স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করলো কাকা শ্বশুর। সাব্রুম মহকুমার রুপাইছরি ব্লকের বাগমারা হরিদাস চৌধুরীপাড়ায় সুন্দরম ত্রিপুরার খুন কাণ্ডের তদন্তের দুদিন বাদে এই দাবী তদন্তকারী পুলিশ দলের। রবিবার সন্ধ্যায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল ১৮ বর্ষীয়া জনজাতি গৃহবধূ সুন্দরম ত্রিপুরার । মৃতার মুখে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। জনজাতি গৃহবধূর মৃত্যু দেহ উদ্ধারের পর খুনের সুস্থ তদন্ত এবং প্রকৃত খুনিকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন পরিবার সহ এলাকার লোকজন। খুনের মামলায় পুলিশের দল গঠন করে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেন সাব্রুম মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকার। পুলিশ তদন্তে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মৃতার কাকা শশুর সুনীল ত্রিপুরাকে(২৮) গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সুনীল ত্রিপুরার সাথে তাঁর ভাতিজা বৌ অর্থাৎ সুন্দরম ত্রিপুরার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সুন্দরম ত্রিপুরা দুই মাসের গর্ভবতী ছিলেন। কাকা শশুরের সাথে গৃহবধুর অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে ইতিপূর্বে এলাকাতে সালিশি সভাও হয়েছে। নিজের স্ত্রীর সাথে কাকার অবৈধ কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়ে সুন্দরম ত্রিপুরার স্বামী কাকার বাড়িতে হামলা করেছিল এবং দা দিয়ে টিনের ঘর কুপিয়ে দিয়েছিল।
সেই শত্রুতার জের ধরেই রবিবার জঙ্গলে রান্নার কাঠ সংগ্রহ করতে গেলে কাকা শশুর সুনীল ত্রিপুরা সুন্দরম ত্রিপুরাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রের দাবি ঘটনাস্থল থেকে খুনির জুতা সহ একাধিক তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে। তারপরই পুলিশ সুনীল ত্রিপুরাকে গ্রেফতার উদ্যোগ নেয়। সুনীল ত্রিপুরা প্রথমে পালিয়ে গেলেও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে শিলাছড়ি থেকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছে। তাকে আদালতে হাজির করে তদন্তের স্বার্থের রিমান্ডে রাজ্যে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। জনজাতি গৃহবধূ খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তক্রমে সন্দেহভাজন খুনিকে গ্রেপ্তার করায় মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকারের ভূমিকায় সন্তোষ জানিয়েছেন স্থানীয় নাগরিক মহল।