সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,২১ ডিসেম্বর,,
শ্রীনগর থানা এলাকায় গাড়ি থামিয়ে মোবাইল লুটের ঘটনায় চার দিনের মাথায় সাফল্য পেলে পুলিশ। পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে ৯০টি মোবাইল। এই মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে বিশালগড়ের কুখ্যাত মৃণাল হোসেন ওরফে ভুট্টুকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ বজেন্দ্রনগর কলোনি এলাকায় একটি রাবার বাগানে লুকিয়ে রাখা বস্তাবন্দি ৯০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। বুধবার সন্ধ্যার পর শ্রীনগর থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি জানিয়েছেন পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপারের ডক্টর কিরণ কুমার। সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন আমতলী মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আশিস দাসগুপ্ত এবং শ্রীনগর থানার ওসি।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় ১৬ ডিসেম্বর TR07F0221 নম্বরের ইকো গাড়িতে করে ১৮ কার্টুন মোবাইল ফোন নিয়ে আগরতলা থেকে সোনামুড়া যাচ্ছিলেন তাজুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী। সাম্প্রতিক কালে বিশালগড় বাইপাসে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্কিত তাজুল ইসলাম শ্রীনগর থানাধীন বজেন্দ্রনগর কলোনির রাস্তাটি নিরাপদ ভেবে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন শ্রীনগর থানা পার হয়ে বজেন্দ্রনগর যাওয়া মাত্রই অনেকটা ফিল্মি কায়দায় পেছন থেকে দুইটি গাড়ি দ্রুতগতিতে তাজুল ইসলামের গাড়ি দুই দিক থেকে ঘেরাও করে নেয়। গাড়ি থেকে নেমে ৬-৭ জনের একটি দল তাদের ইসলামের গাড়ি থামিয়ে চালককে মারধর করে। ভাঙচুর করা হয় ইকো গাড়ি। পরে গাড়ির ভেতরে থাকা ১৮ কার্টুন মোবাইল লুটে নিয়ে চলে যায়।
লুটেরাদের কয়েকজনের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা থাকলেও এক দুজনের চেহারা দেখতে পায় কাজল ইসলাম। ঘটনাস্থলে থেকেই লুটের স্বীকার তাজুল ইসলাম বিষয়টি পুলিশ এবং বিভিন্ন মহলে জানায়। শ্রীনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করে। আমতলী মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আশিষ দাস গুপ্তের নেতৃত্বে পুলিশ মাত্র দুই দিনের মাথায় এই মামলায় জড়িত সন্দেহে বিশালগড়ের কুখ্যাত মৃণাল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার পুলিশ লুট হওয়া মোবাইল ফোনের ৯০টি মোবাইল উদ্ধার করে। জেলা পুলিশ সুপার জানান তাজুল ইসলাম উদ্ধারকৃত মোবাইল সনাক্ত করেছে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র থানায় জমা করেছে । অন্যদিকে এই মামলায় জড়িত অন্যদেরকেও গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত পার্শ্ববর্তী সিপাহীজলা জেলাতে একের পর এক ছিনতাই এবং লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ যখন ব্যর্থতা আগলে রেখেছে তখন শ্রীনগর থানা এলাকায় লুটের ঘটনার স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এই সাফল্যে জেলার নাগরিক মহলে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে।