প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১৬ জুন,,
পুলিশি নিরাপত্তার অভাবে রাতের অন্ধকারে আতঙ্ক নগরীতে পরিণত হয়েছে রাজধানী আগরতলা। সেই আতঙ্ক নগরীতে নেশাগ্রস্ত একাংশের নেতৃত্বে সাম্প্রতিককালে একাধিক অপরাধের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। কোথাও নার্সিংহোমে স্ত্রীর ডেলিভারির পর তরুণ বাবা আক্রান্ত হয়েছেন, কখনো আবার জনজাতি কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা সঙ্গ বদ্ধ হামলার মুখে পড়েছেন। চুরি, ছিনতাই রাজনৈতিক হামলা তো প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা বনে গেছে। এবার আগরতলার বুকে রাতের বেলা প্রাণঘাতী হামলার শিকার হলেন এক ভবঘুরে বৃদ্ধ। শিবনগর রামঠাকুর আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় ৭০ ঊর্ধ্ব বৃদ্ধকে পিটিয়ে তার একটি হাতের হাড় দুই টুকরো করে দিল দুষ্কৃতি দল।

আক্রান্ত সেই ভবঘুরের নাম নিখিল চন্দ্র সূত্রধর। পরিবার-পরিজন না থাকায় তিনি আগরতলা শহরের বুকে ভবঘুরের মতো ঘোরাফেরা করেন এবং খালি বোতল ,মলাট প্লাস্টিক কুড়িয়ে এগুলি বিক্রি করে নিজের খাবারের ব্যবস্থা করেন। রাতে তিনি আগরতলা শহরেই রাস্তার পাশে কোন মন্দির কিংবা দোকানের সামনে ঘুমিয়ে পড়েন। গত বুধবার রাত আনুমানিক একটা একটা নাগাদ নিখিল চন্দ্র সূত্রধরের উপর হামলে পড়ে একদল দুষ্কৃতী। নিখিল চন্দ্র সূত্রধর জানান তিনি রাস্তার পাশে শুয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করেই একদল যুবক এসে মোটা লাথি হাতে নিয়ে তাকে মারতে শুরু করে। কেন তারা মারছে তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি। তবে হামলাকারী যুবকরা সবাই নেশাগ্রস্ত ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। কোনক্রমে তিনি সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। কিন্তু সেই মারে তার শরীরে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। তিনি সেখান থেকে আত্মরক্ষা করেন এবং অন্যত্র গিয়ে শারীরিক যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করেন । তার চিৎকার শুনে কয়েকজন লোক বাড়ি থেকে বের হয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দেখা যায় তার ডান হাতের হাঁড় ভেঙে টুকরো হয়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হয়। এলাকাবাসী স্থানীয় ‘যুবপ্রেরণা’ সংগঠনকে বিষয়টি জানায়। বর্তমানে আহত ভবঘুরের চিকিৎসা পরিচালনা করছে যুবপ্রেরণা সংগঠন।