প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৪ জুলাই,,
মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের জন্মদিনে তিপড়া মথার মাইনোরিটি সেলের উদ্বোধন হলো বৃহস্পতিবার। আগরতলায় একটি বেসরকারি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মথার মাইনোরিটি সেলের সূচনা করেন তিপড়া মথার সভাপতি বিজয় কুমার রাঙ্খল। মাইনরিটি সেলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে মহারাজের অত্যন্ত স্নেহভাজন হিসেবে পরিচিত তিপড়া সিটিজেন ফোরামের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমকে। বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানে সভাপতি সহ উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য মেবার কুমার জমাতিয়া, রাজেশ্বর দেববর্মা, কনভেনার তপন দে।
অনুষ্ঠানে মথা সুপ্রিমো মহারাজ প্রত্যুৎ কিশোর দেববর্মন উপস্থিত না থাকলেও একটি ভিডিও বার্তায় তিনি সংখ্যালঘু অংশের নাগরিকদের তিপড়া মথায় সামিল হতে আহবান রেখেছেন। মহারাজ বলেন রাজ্য এবং দেশে নাগরিকরা অনেকভাবে বঞ্চিত রয়েছেন। কিন্তু তারপরও অনেক রাজনৈতিক দল জাত ,ধর্ম এবং গোত্রের নামে তাদেরকে বঞ্চিত করছে। মহারাজ বলেন তিপড়া মথা চালু করার সময় নিজের জাতির লোকেদের উন্নতি করাই উনার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু সারা রাজ্য ঘোরার পর তিনি দেখেছেন সব ধর্ম এবং অংশের মানুষই বঞ্চিত এবং অসহায় রয়েছেন। ম্যালেরিয়া ,ক্যান্সারে যখন মানুষ মারা যায় তখন ধর্ম দেখা হয় না। এই জন্যই তিপড়া মথার বিভিন্ন সেল চালু করা হলো। মাইনোরিটি সেলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের সুযোগ দেওয়া হবে যাতে করে তারা তিপড়া মথার মাধ্যমে নিজেদের দাবি তুলে ধরতে পারেন। মহারাজ বলেন “আমি চাই মুসলিম ভাই বোনদের হাতে শুধু কোরান নয় ল্যাপটপও থাকুক। ” তাছাড়া অনুষ্ঠানে দলের সভাপতি বিজয় কুমার রাঙ্খল বলেন ককবরকে “থানসা”শব্দের বাংলা অর্থ হলো একত্ব। মথা চায় সব ধর্ম এবং জাতির মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে একত্ব অর্থাৎ এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করা। সেই লক্ষ্যেই দল কাজ করছে এবং বিভিন্ন সেলের সূচনা করছেন। প্রসঙ্গত এদিন তিপড়া মথার শুধুমাত্র চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হয়েছে। চেয়ারম্যান শাহ আলমের নেতৃত্বে আগামী দিনে সেলের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করবেন মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহারাজের জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য নিয়ছিল।
