Home ত্রিপুরার খবর আগরতলা খবর নেশার কবলে ফের প্রাণ গেলো এক যুবকের; রিহাব সেন্টারের ভূমিকায় সন্দেহ পরিবারের...

নেশার কবলে ফের প্রাণ গেলো এক যুবকের; রিহাব সেন্টারের ভূমিকায় সন্দেহ পরিবারের ।

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৪ জানুয়ারি,,

নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ফের মৃত্যু হল একই যুবকের। নিজের একমাত্র ছেলেকে নেশার কবল থেকে মুক্ত করতে রিহাব সেন্টারে দিয়েছিলেন মা-বাবা। এক সপ্তাহের মাথায় মৃত্যু হয়েছে ২১ বছরের সেই যুবকের। মৃত যুবকের নাম প্রীতম চৌধুরী (২১)। পিতার নাম পিন্টু চৌধুরী। প্রিতম চৌধুরী গত আড়াই বছর ধরে ড্রাগের নেশায় আসক্ত ছিল। সে ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে ড্রাগ নিত। নেশার কবল থেকে মুক্ত করতে তাঁকে মলয়নগরে “আগরতলা এম্পেথি ফাউন্ডেশন” নামক একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল।

নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পরিবারের লোকজন।

পরিবারের অভিযোগ আগেও এই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল প্রীতমকে। নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করানোর পরে তারা পরিবারের কাছ থেকে শুধু টাকা চায়। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও নেশা আসক্তির তেমন মুক্তি হয় না। নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এক দুমাস না যেতেই ফের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন ছেলেরা। প্রিতম চৌধুরির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। তাই দ্বিতীয় দফায় তাঁকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু সেখানে সপ্তাহের ব্যবধানে ছেলের জীবন হারাতে হবে তারা তা ভাবতেই পারেননি। অন্যদিকে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নেশা মুক্তি কেন্দ্রের পরিচালনায় যুক্ত জন চক্রবর্তী বলেন প্রীতম চৌধুরী আগে একবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল। সপ্তাহ খানেক আগে সে ফের নিজে থেকে রিহাব সেন্টারে এসে ভর্তি হয়। রিহাব সেন্টারে ভর্তির সময় তার রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রীতম চৌধুরী হেপাটাইটিস ‘বি’ সহ একাধিক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত ছিল। বুধবার রাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাঁকে রিহাব সেন্টার থেকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জন চক্রবর্তীর দাবি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রীতম চৌধুরীর। পরিবারের লোকজন সঠিক সময়ে তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে হয়তো বা তাঁর জীবন রক্ষা পেত।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version