প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৫ আগস্ট,,
বিরোধী প্রচার শূন্য মাঠে জয় নিশ্চিত শাসক দলের প্রার্থীদের। কিন্তু তারপরও রাজনৈতিক মাঠে সরব প্রচারে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে চাইছেন না খয়েরপুরের শাসকদলের জেলা পরিষদ প্রার্থীরা। দিন রাত এক করে চলছে নির্বাচনী প্রচার। নিজ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে চলছে গণদেবতাদের কাছে ভোট প্রার্থনা। খয়েরপুরে অন্যান্য প্রার্থীদের মতোই নির্বাচনী প্রচারে এগিয়ে আছেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ১০ নম্বর আসনের প্রার্থী কামনা সরকার। পশ্চিম নোয়াবাদী এলাকার গৃহবধূ কামনা সরকার ইতিপূর্বে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে কর্মদক্ষতা এবং মিষ্ট ব্যবহারে এলাকার লোকেদের সাথে সুসম্পর্কের নিরিখে বিজেপি দল এবার তাকে জেলা পরিষদের মত গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী নির্বাচিত করেছে। প্রার্থী ঘোষণার পর দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে ভোটের প্রচারে কোন ত্রুটি রাখতে চাইছেন না কামনা সরকার। তিনি নিজের পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে গণদেবতার আশীর্বাদ প্রার্থনা করছেন।
কামনা সরকার রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে ভোটের প্রচারে বিরোধী সিপিআইএম দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিরোধী দলের কট্টরপন্থী নেতাদের বাড়িঘরে যাচ্ছেন। সিপিআইএম এবং কংগ্রেস নেতাদের বাড়ি ঘরে গিয়ে হাত জোড় করে উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে ভোট দেওয়া আহ্বান রাখছেন।
তিনি বলেন মানুষের সমর্থন জানান দিচ্ছে ভোটের আগেই জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তিনি গণদেবতার আশীর্বাদ নিয়ে আগামীদিনে নাগরিক সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাইছেন।জেলা পরিষদের প্রার্থী কামনা সরকারের সমর্থনে প্রচারে মাঠে রয়েছেন খয়েরপুরের বিধায়ক রতন চক্রবর্তী এবং পশ্চিম নোয়াবাদী বিজেপি শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ দেবব্রত সেন। প্রসঙ্গত পশ্চিম নোয়াবাদী গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়ে গেছেন। কিন্তু জেলা পরিষদের আসনে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস উভয় দলের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই আগামী ৮ আগস্ট ভোট বাক্সে নিজেদের সর্বাত্মক জয় ছিনিয়ে আনতে নির্বাচনের মাঠ দখলে রেখেছেন বিজেপি প্রার্থী এবং নেতৃত্ব সহ কর্মী সমর্থকরা।