সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,২৪ ফেব্রুয়ারি,,
লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন এবং তার তিপড়ামথা দলের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রোমান স্ক্রিপ্ট নিয়ে আন্দোলন এবং সরকারি তরফে সমাধানের পর শুক্রবার হঠাৎ করেই ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করেছেন মথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন। শুক্রবার প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন প্রথমে নিজের দলের নেতা- বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। পরবর্তীকালে প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন করেন কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা এবং বিধায়ক তথা কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুদীপ রায় বর্মনের সাথে । বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার অফিস কক্ষে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা। বৈঠকের পরে কোন রাজনৈতিক নেতাই নিজেদের মুখ থেকে এই বিষয়ে কিছু জানান নি। এমন কি নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে কোন নেতা এই বিষয়ে কিছু শেয়ারও করেনি । ফলে বৈঠকের গোপনীয়তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। একাংশের ধারণা লোকসভা নির্বাচনের আগে “ইন্ডিয়া” জোটে সামিল হতে পারে ত্রিপুরার তিপড়া মথা দল। সেই নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে একাংশের দাবি।
শুধু তাই নয় রাজনৈতিক মহলে কংগ্রেস শিবিরের একাংশের দাবি ত্রিপুরাতে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সিপিএম এবং মথা জোট হতে পারে। এমনটা হলে ত্রিপুরার পূর্ব আসন মথাকে ছেড়ে দিতে পারে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম। অন্যদিকে রাজধানী পশ্চিম জেলার আসনে কংগ্রেসের সমর্থন চাঙ্গা বলে আসনটি কংগ্রেসকে দেওয়া হতে পারে। বিজেপিকে হারানোর স্বার্থে সিপিআইএম সিপিআইএম উভয় আসনে নিজেদের সমর্থিত দলকে ভোট দিয়ে সমর্থন জানাবে। যদিও কোন রাজনৈতিক দলের তরফে এই বিষয়ে স্পষ্ট কোন বার্তা পাওয়া যায়নি। তাছাড়া বিগত দিনে দেখা গেছে মথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন বারবারই বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর পাল্টি খেয়েছেন। তাই নির্বাচনের আগে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে উনার বৈঠক কিংবা কথাবার্তার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাইছেন না অনেকে। একাংশের অভিযোগ এভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সামনে বৈঠক করে তার খবর ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন বরাবরই শাসক দলের সামনে চাপের রাজনীতি করেন এবং শেষে সুবিধাজনক পথ বেছে নেন। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নেতাদের সাথে মথা নেতাদের বৈঠক নিয়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে শাসক শিবিরে। শাসক দলের একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দিল্লির সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মথার রাজ্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার পথ খুঁজতে চাইছেন বলে খবর।