Home জাতীয় খবর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সমন্বয় এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করুন :পর্যালোচনা বৈঠকে নির্দেশ...

আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সমন্বয় এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করুন :পর্যালোচনা বৈঠকে নির্দেশ পুলিশ মহা নির্দেশকের।

0
Oplus_0

প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আমবাসা,, ২৪ জুলাই,,

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং শান্তির পরিবেশ রক্ষায় এবার পুলিশকে গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক কাজে জোর দেওয়ার পরামর্শ করলেন রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বুধবার ধলাই জেলা পুলিশের প্রশংসা করেছেন পুলিশ মহা নির্দেশক। তিনি বলেন রাজ্য পুলিশকে সমন্বয় এবং নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে কাজ করা উচিত। সাম্প্রতিককালে গন্ডাছড়ার ঘটনায় পুলিশ যেভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে তা পুলিশের সেই দক্ষতার প্রমাণ রাখে। রাজ্য ভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠকে গন্ডাছড়ার ঘটনায় ধলাই জেলার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশংসা করলেন রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন।

প্রসঙ্গত এদিন ধলাই জেলার আমবাসায় পুলিশ সদর দপ্তরে রাজ্য পুলিশের পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন। ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের মহানির্দেশক অনুরাগ ধনখর, আইজি টিএস আর, ডি আই জি ইন্টেলিজেন্স, ডি আই জি রেঞ্জ, সহ রাজ্যের আট জেলার পুলিশ সুপার । রাজ্য ভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার উপর পুলিশ মহানির্দেশক বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে তিনি পুলিশকে উপদেশ করেছেন। যারা অশান্তি তৈরি করতে চাইছে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোরভাবে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি সাহেব। অপরাধের ঘটনার ক্ষেত্রে ডিজি জেলা পুলিশ সুপারদের স্বশরীরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তদন্ত করার নির্দেশ করেছেন। শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে ডিজি সাহেব কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী এবং টি এস আর জোয়ানদের সঠিকভাবে কাজে লাগানোর নির্দেশ করেছেন। একইভাবে ডিজি ইন্টিলিজেন্স অনুরাগ ধনখর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে পুলিশকে নির্দেশ করেছেন। কেন্দ্রীয় আধিসামরিক বাহিনীর জোয়ান, টিএসআর এবং সিভিল পুলিশের মধ্যে যাতে সমন্বয় বজায় থাকে সেক্ষেত্রে জেলা পুলিশ সুপারদের বিশেষভাবে নির্দেশ করেছেন ডিজি অনুরাগ। এই পর্যালোচনা বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপাররা নিজেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং অভিমত তুলে ধরেছেন। প্রসঙ্গত গন্ডাছড়ার হিংসার ঘটনায় ১৬৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বাড়িঘর লুটপাট করা হয়েছে। অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। গৃহপালিত পশু নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সেই ঘটনার ১৪ দিন বাদেও পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকেও গ্রেফতার করতে পারছে না। সেই ক্ষেত্রে গন্ডাছড়ার ঘটনায় জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পুলিশ মহানির্দেশকের প্রশংসার খবর বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version