Home জাতীয় খবর ৫ লক্ষ চাঁদা চেয়ে ক্লাবে আটকে রেখে বাপ-বেটাকে মারধর! ২৪ ঘন্টা বাদেও...

৫ লক্ষ চাঁদা চেয়ে ক্লাবে আটকে রেখে বাপ-বেটাকে মারধর! ২৪ ঘন্টা বাদেও নিরব মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,১২ অক্টোবর,,

দুর্গাপূজার চাঁদা বাজির নামে বিশালগড় রাউতখলা যুব সংস্থার একাংশ গুন্ডা দ্বারা আক্রান্ত কংগ্রেসের জেলা সহসভাপতি দুলাল মিয়া এখনো হাঁপানিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চাঁদার জুলুম রোখতে আরক্ষা প্রশাসনের আধিকারিকদের উপর মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ নির্দেশ থাকলেও বিশালগড় থানার পুলিশ ক্লাব গুন্ডাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং স্থানীয় মন্ডল নেতা এবং পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্ত ক্লাব কর্মকর্তাদের একাংশ আক্রান্তদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করার চেষ্টা করে।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনের নামে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা অভিযুক্ত ক্লাব কর্মকর্তাদের

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকার পরও চাঁদা সন্ত্রাসে অভিযুক্তদের প্রতি বিশালগড় থানার পুলিশের দুর্বলতা নিয়ে নাগরিক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত বিশালগড় রাউথখলা যুব সংস্থা ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা স্থানীয় সংখ্যালঘু নাগরিক তথা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দুলাল মিয়ার পরিবারের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ দুলাল মিয়া এবং তার ছেলেকে বুধবার ক্লাবের ভেতরে ডেকে এনে দিনভর আটকে রেখে মারধর করে। ক্লাব গুন্ডাদের মারে গুরুতর আহত হন দুলাল মিয়া এবং তার ছেলে।

আহত অবস্থায় তাদেরকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পরিবারের তরফে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে হাঁপানিয়া হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেই ঘটনায় বিশালগড় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও মন্ডল নেতাদের নির্দেশে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রসঙ্গত এদিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা দূর্গা পূজার চাঁদাবাজির নামে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানো কিংবা জুলুমকারী-দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ক্লাবের চাঁদা সন্ত্রাসের ভয়ানক অভিযোগ সামনে উঠে আসে। ৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবিতে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর অত্যাচারের সুস্পষ্ট অভিযোগ সামনে উঠে আসলেও মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ কেন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার আহত দুলাল মিয়াকে দেখতে হাঁপানিয়া হাসপাতালে যান ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি আশীষ সাহা সহ কয়েকজন। কংগ্রেস সভাপতি আহতের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন এবং ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version