প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২২ সেপ্টেম্বর,,
ত্রিপুরার ইতিহাসে সর্বকালীন বৃহত্তর বৈরী আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান আত্মসমর্পণ হতে চলছে ২৪ সেপ্টেম্বর । আগরতলা শহর সংলগ্ন একটি টিএস এর বাহিনীর সদর দপ্তরে একসঙ্গে অস্ত্র তুলে দিতে পারেন ৬ শতাধিক আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি দলের সদস্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজ্যের মুখ্য তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা সহ উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্য সচিব, ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক সহ প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক এবং নেতা-মন্ত্রী। নিরাপত্তার স্বার্থে আত্মসমর্পণের নির্দিষ্ট জায়গা সহ একাধিক বিষয় সংবাদে তুলে ধরা হয়নি। তবে আগামী দিনের এই আত্মসমর্পণ ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আত্মসমর্পণ হওয়ার পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে একটা নতুন ইতিহাস হবে বলে প্রশাসনিক ভাবে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য ইতিপূর্বে ৮সেপ্টেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ ত্রিপুরার নিষিদ্ধ বৈরী সংগঠন এন এল এফ টি এবং এটিটিএফের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন সহ বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা এবং বৈরী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মেনে এন এল এফ টি এবং এটিটিএফ অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সম্মত হয় এবং রাজ্য এবং রাষ্ট্রের বিকাশে সরকারের সাথে এক হয়ে কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছিল। সেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের চুক্তির পর এখনো পর্যন্ত বৈরী দলের সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেননি। সরকার এবং বৈরী দলের নেতাদের আলোচনার ভিত্তিতেই আগামী দিনের সেই অনুষ্ঠান ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা শহর অদূরে একটি টিএসআর বাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হতে চলছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বৈরী ঘাঁটি থেকে আগত সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে করা পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে অবস্থান করছেন। ২৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বৃহৎ সংখ্যায় অস্ত্র তুলে দেবেন। আগামী দিনের এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও জানা গেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালের মধ্যে সরকারিভাবে অনুষ্ঠানের ঘোষণা সহ বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।