Home ত্রিপুরার খবর জেলার খবর স্বামীর নৃশংস অত্যাচারের শিকার ৬ সন্তানের জননী! চিকিৎসাধীন জিবি হাসপাতালে।

স্বামীর নৃশংস অত্যাচারের শিকার ৬ সন্তানের জননী! চিকিৎসাধীন জিবি হাসপাতালে।

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৮ ফেব্রুয়ারি,,

৬ সন্তানের জননী গৃহবধূকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে, মাথা ফাটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো এক স্বামী। স্বামীর অত্যাচারের শিকার ৩২ বছরের গৃহবধূ বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গৃহবধুর নাম শিরিনা আক্তার (৩২)। স্বামীর নাম আব্দুল হক। স্বামীর বাড়ি সোনামুড়া থানাধীন কালাপানিয়া রাজনগর। অন্যদিকে শিরিনা আক্তারের বাবার নাম হাবিবুর রহমান। বাবার বাড়ি একই থানার সোনাপুর এলাকায়। শিরিনা আক্তারের বাবার বিবরণ, ১৫ বছর আগে সামাজিকভাবে শিরিনার বিয়ে হয়েছিল আব্দুল হকের সঙ্গে। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই আব্দুল হক স্ত্রীকে নির্যাতন করত। বিয়ের কয়েক বছরে তাদের ৪ মেয়ে এবং ২ ছেলে হয়। শিরিনা সংসার ছোট করতে চাইলেও স্বামী তাতে রাজি ছিল না। ৬ সন্তান হওয়ার পরও শিরিনার উপর স্বামীর নির্যাতন কমেনি। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিরিনা কয়েকবার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। কয়েকবার সামাজিক মিমাংসা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কোন লাভ হয়নি। স্বামীর বাড়িতে গেলেই শিরিনার উপর নৃশংস অত্যাচার চালাত স্বামী আব্দুল হক। দুদিন আগে আব্দুল হক রাতের অন্ধকারে শিরিনাকে ঘর থেকে বের করে দেয় বাপের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু শিরিনা বাপের বাড়িতে না গিয়ে স্বামীর বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরপরই বৃহস্পতিবার আব্দুল হক নিজের বোনের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে ঘর থেকে তুলে ধরে বের করে এনে ভারী কাঠের টুকরো দিয়ে নৃশংস ভাবে মারধর করে। শিরিনার হাত ভেঙে দেওয়া হয়।

স্বামীর মারে শিরিনার মাথা ফেটে যায়। বা হাত ভেঙে মাংস ফেটে হাড় বাইরে বেরিয়ে গেছে বলে অভিযোগ। পরে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় শিরিনাকে প্রথমে প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। স্বামীর অত্যাচারে আহত শিরিনা বর্তমানে জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনায় শিরিনার বাপের বাড়ির লোকজন সোনামুড়া থানায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর। কিন্তু রাতে খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেনি। সুশাসনের রাজ্যে এই ধরনের নৃশংস নারী নির্যাতনের ঘটনা জানাজানি হতেই বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীর কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version