সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৬ মার্চ,,
ধারালো দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে স্ত্রীকে খুন করলো স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনা শুক্রবার রাতে খোয়াই গৌরাঙ্গ টিলা এলাকায়। স্বামীর দায়ের আঘাতে গুরুতর আহত স্ত্রীকে প্রথমে খোয়াই হাসপাতাল এবং পরবর্তীকালে জিবি হাসপাতালে আনা হয়েছিল। জিবি হাসপাতালে আনার পর গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তাঁর মাথায় এবং সারা শরীরে ২০ টির উপর দায়ের কোপ রয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। মৃত গৃহবধুর নাম প্রতিমা নাথ চৌধুরী (২৬)। খুনি স্বামীর নাম প্রদীপ নাথ চৌধুরী। ঘটনার বিবরনে জানা যায় ২০১৭ সালে হিন্দু শাস্ত্র মতে প্রতিমা নাথ চৌধুরী এবং প্রদীপের বিয়ে হয়েছিল। তাদের ঘরে বর্তমানে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। অভিযোগ বিয়ের কয়েক বছর পরেই স্বামী প্রদীপ এবং তার পরিবারের লোকেরা মিলে গৃহবধূ প্রতিমা নাথ চৌধুরীর উপর অত্যাচার শুরু করে। দিনকে দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। স্বামী প্রায় সময় মদের নেশায় রাতে বাড়িতে ফিরে প্রচন্ডভাবে শারীরিক নির্যাতন করতো প্রতিমার। সেই নির্যাতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে শুক্রবার রাতে প্রতিমা স্বামীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই ঘরের দা দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কুপাতে শুরু করে পাষণ্ড প্রদীপ নাথ চৌধুরী। প্রদীপ দা দিয়ে প্রতিমার মাথায়, ঘাড়ে, হাতে পায়ে বুকে পিঠে সারা শরীরে কুপিয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে প্রতিমা। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে খোয়াই হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর জানানো হয় কল্যাণপুর থানায়। খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকেদের। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে আশঙ্কা জনক প্রতিমা নাথ চৌধুরীকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জিবি হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় প্রতিমার। এই ঘটনায় খুনি প্রদীপ নাথ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় জনতার মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে। ঘটনার পরেই কল্যাণপুর থানার পুলিশ স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী প্রদীপ নাথ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এই ঘটনায় খুনের মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।