লংতরাইভ্যালী,, ২৩ এপ্রিল,,
নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মহকুমার সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নির্বাচনী খবর সংগ্রহ করতে গেলে নিজ এক্তিয়ার সম্পর্কে অবগত থেকেই খবর সংগ্রহ করেন বার্তাজীবিরা। অথচ পোলিং ষ্টেশনগুলির ভিতর কিছু প্রিসাইডিং অফিসার এবং কতিপয় আধাসামরিক বাহিনির ন্যাক্কারজনক ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয়। নির্বাচন শেষে ইভিএম নিয়ে স্ট্রং রুমে আসা পর্যন্ত রাত গভীর হলেও ভোটকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও উপস্থিত থাকেন। গভীররাত হলে মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা সাংবাদিকদের বাড়ি ফিরতে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। অথচ জলখাবারের ব্যবস্থা দূরে তাকে একটা উপযুক্ত বসার জায়গা পর্যন্ত ভাগ্যে জোটে না সাংবাদিকদের। শুধুমাত্র গণনার দিনই সাংবাদিকদের বসার জন্য জন্য একটি জায়গা নির্ধারিত থাকে। উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও ভোট গননার দিন সাংবাদিকদের জলখাবার ও দুপুরের খাবারের ব্যাবস্হার দাবী নিয়ে লংতরাইভ্যালী মহকুমা শাসক উওম কুমার ভৌমিকের সাথে সাক্ষাত করেন ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের লংতরাইভ্যলী কমিটির সদস্যরা।
বিষয়গুলো অবগত হয়ে মহকুমা শাসক আশ্বাস দেন ভোটের দিনও সাংবাদিকদের জন্য উপযুক্ত বসার জায়গা এবং খাবারের বিষয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবেই ব্যবস্থা করে দেবেন। পাশাপাশি মুখ্য দাবী অর্থাৎ নির্বাচনের দিন সাংবাদিকের সাথে অসহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে উত্তমবাবু বলেন, বারবার নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে ট্রেনিং দেওয়ার পরও সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে অসহযোগিতা করাটা বাঞ্ছনীয় নয়। তিনি প্রতিটা সেক্টরের দায়িত্বে যে অফিসার থাকবেন উনার ফোন নম্বর সাংবাদিকদের দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বশীল অফিসারকে অবগত করে দেওয়া হবে যেকোনো ভোটকেন্দ্রে এমন ঘটনার খবর এলেই যেন তার দ্রুত সমাধান করা হয়। মহকুমা শাসকের সাথে সাক্ষাৎকারে সামিল হন টিডব্লউজের রাজ্যকমিটির সদস্য অসীম দাস, লংতরাইভ্যালী কমিটির সভাপতি ঝুলন বড়ুয়া, সম্পাদক রুপম দাস সহ মোট ১২ জন সদস্য।
