Home ত্রিপুরার খবর লেফুঙ্গায় বাড়িতে উদ্ধার কৃষকের মৃতদেহ; খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী এবং ছেলে।

লেফুঙ্গায় বাড়িতে উদ্ধার কৃষকের মৃতদেহ; খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী এবং ছেলে।

0
Oplus_0

প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১৬ মে,,

এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রী, ছেলে এবং ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনা লেফুঙ্গা থানার অন্তর্গত দমদমিয়া এলাকায় । বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে উদ্ধার হয় স্থানীয় হরিবোল বিশ্বাসের (৪৪) মৃতদেহ। হরিবোল বিশ্বাস পেশায় একজন কৃষক বলে জানা গেছে। বাড়ির উঠানে মৃত দেহটি পড়েছিল। এলাকার লোকজন মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর জানান।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় লেফুঙ্গা থানার ওসি সহদেব দাস, লেম্বুছড়া ফাঁড়ির ওসি মৃণাল পাল সহ পুলিশ এবং ফরেনসিক টিম। মৃতদেহের মাথায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। মৃত হরিবোল বিশ্বাসের পিতা অনাথ বিশ্বাস অভিযোগ করেন হরিবোল বিশ্বাসের স্ত্রী আলপনা বিশ্বাস এবং তাঁর ছেলে সুমন বিশ্বাস গতকালকে রাতে এই বাড়িতে ছিল। হরিবোল বিশ্বাসের কাছে তাঁর ছেলের বাইকের কিস্তির টাকা চেয়েছিল। হরিবোল টাকা দিতে পারেননি বলে তাদের মধ্যে অনেকক্ষণ ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলায় হরিবোল বিশ্বাসকে ছেলে সুমন বিশ্বাস এবং স্ত্রী মিলে প্রচন্ডভাবে মারধর করে। ধারণা করা হচ্ছে তারাই রাতে হরিবোল বিশ্বাসকে মেরে খুন করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। হরিবোল বিশ্বাসের ভাই এবং প্রতিবেশীরা একই অভিযোগ করেছেন। এই প্রসঙ্গে আরো জানা যায় হরিবোল বিশ্বাসের স্ত্রী আল্পনা বিশ্বাস ছেলে এবং ছেলের বউ সহ আগরতলায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন । মাঝেমধ্যে টাকার দরকার পড়লে তারা হরিবোল বিশ্বাসের বাড়িতে এসে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে যান। বুধবার রাতেও সেই টাকা নিয়ে হরিবোল বিশ্বাসের সাথে মা ছেলের তুমুল ঝগড়া হয়। শেষে তারাই হরিবোলকে খুন করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে পুলিশ একটি খুনের মামলা নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য রয়েছে।

অন্যদিকে দুপুরে বিশালগড় থানার পুলিশের মধ্যে ঘটনায় অভিযুক্ত মা এবং ছেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের হাতে ধরা পরার পর মায়ের দাবি দুর্ঘটনাবশত ছেলের হাতে বাবার মৃত্যু হয়েছে। হরিবোল বিশ্বাস নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আল্পনা বিশ্বাসকে মারধর করছিলেন। মাকে মারতে দেখে ছেলে প্রতিরোধ করতে গিয়ে বাবাকে আঘাত করে এবং সেই আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে দাবি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version