Home ত্রিপুরার খবর রাজ্যে বেকায়দায় পান সুপারি উৎপাদকরা; ১৩ দফা দাবিতে ডেপুটেশন।

রাজ্যে বেকায়দায় পান সুপারি উৎপাদকরা; ১৩ দফা দাবিতে ডেপুটেশন।

0
Oplus_0

প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৩১ মে,,

সরকারের উদাসীনতায় অনিশ্চয়তায় রয়েছেন রাজ্যের ২৫ হাজার তাদের সাথে যুক্ত লক্ষাধিক শ্রমজীবী মানুষ। পান এবং সুপারি চাষীদের স্বার্থে ১৩ দফা দাবি নিয়ে উদ্যানকৃষি দফতরের অধিকর্তার সাথে এক ডেপুটেশনে মিলিত হল রাজ্য কৃষক সভার অন্তর্গত পান সুপারি চাষি সমিতি। পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পান সুপারি চাষিদের ভয়াবহ অবস্থার কথা জানান সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর। সাংবাদিক সম্মেলনে পবিত্র কর বলেন এই চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ সরষের খোল সার থেকে শুরু করে অন্যান্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন চাষীরা । শুধু রেমাল নয়, এর আগে থেকেই রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল বলে অভিযোগ।এই মুহূর্তে বাগান কৃষির অন্তর্গত পান ও সুপারি উৎপাদকরা সব চেয়ে বেকায়দায়। সারা ত্রিপুরা রাজ্যে এই চাষের সাথে যুক্ত প্রায় লক্ষাধিক চাষি এর সঙ্গে যুক্ত মানুষ অর্থনৈতিক দিক থেকে সর্বশান্ত হতে চলেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে পাট সুপারি চাষী সমিতি রাজ্য কমিটির সম্পাদক বাবুল দেবনাথ বলেন আমরা আজ রাজ্য কমিটির বৈঠকে পান ও সুপারি চাষকে বাঁচাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এরমধ্যে সহজ সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা,বিনামূল্যে বীজ সার প্রদান, আরও পান ক্ষেত তৈরির দাবি করেছি।পান চাষিদের প্রধানমন্ত্রীর কৃষক সম্মান নিধির আওতাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছি। তিনি বলেন নলুয়াতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম হিমঘর করা হয় বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে সেটা অকেজো হয়ে গেছে তার ফলে অতিরিক্ত উৎপাদন হলে পান রাখার ব্যবস্থা নেই বলে তিনি অভিযোগ করেন।এই কৃষিকে চাষীদের স্ত্রীদের গহনা বন্ধক দিতে হয়েছে। । রাজ্যে পানের আরতে ১০% টাকা কাটমানি হিসেবে নিচ্ছেন ক্ষমতাসীনদের টাউটরা। আগরতলা সহ বিভিন্ন স্থানে বামফ্রন্ট সরকারের সময় চালু থাকা সমবায় সমিতির মাধ্যমে আবার পান কেনার দাবি জানিয়েছে এই সমিতি।বাবুল দেবনাথ বলেন চুড়ান্ত কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে রাজ্যের সুপারি চাষিরা।ধলাই উত্তর জেলা ও উনকোটিতে হচ্ছে মূল সুপারি চাষিদের উৎপাদন ক্ষেত্র।উত্তরের জম্পুই এখন প্রধান চাষ হল সুপারি। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।পুলিশ প্রশাসনের ও ক্ষমতাসীন টাউটের জন্য বহিরাগত আরতদাররা আসতে পারেননা। ফলে ফলন থাকলেও ন্যুনতম মূল্যে তা বিক্রি করতে হচ্ছে, ফলে ঋনের কবলে পরে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছেন তাঁরা।তিনি বলেন সেজন্য আমরা ন্যুনতম সহায়ক মূল্য দাবি করেছি। তিনি বলেন এর আগেও সমিতি এই সমস্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বারবার বলা সত্বেও সরকার কিছুই করেনি। আজ হর্টিকালচারের অধিকর্তা কিছু কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে বাবুল দেবনাথ জানান।সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির নেতৃত্ব স্বপন দাস, অনিল মজুমদার ও মৃণাল কান্তি ঘোষ। এক বিবৃতিতে এই বিষয়টি জানিয়েছেন সারা ভারত কৃষক সবার রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version