Home ত্রিপুরার খবর আগরতলা খবর রাজ্যে জনজাতিদের থেকেও গরিব মুসলিমরা; চাঞ্চল্যকর তথ্য মন্ত্রী রতনলাল নাথের।

রাজ্যে জনজাতিদের থেকেও গরিব মুসলিমরা; চাঞ্চল্যকর তথ্য মন্ত্রী রতনলাল নাথের।

0

প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২ মে,,

রাজ্যে জনজাতিদের থেকেও গরিব রয়েছে মুসলিমরা। রিপোর্টে বের হয়েছে শুধুমাত্র গোঁড়ামি করে তাদেরকে গরিব বানিয়ে রাখা হয়েছে। ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে মোহনপুর সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত জনজাগরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই তথ্য দিয়েছেন রাজ্য সরকারের কৃষি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সংখ্যালঘু মন্ত্রী রতনলাল নাথ। এদিন তিনি সংখ্যালঘুদের কাছে পেয়ে তথ্য তুলে ধরে রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি এবং সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণে বিগত বাম সরকারের দুর্বলতা তুলে ধরেন। মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন ধর্ম এক জিনিস কিন্তু গোঁড়ামি আরেক জিনিস। মুসলিমদের একটা অংশকে গোঁড়ামির মধ্য দিয়ে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। এটা করা হয়েছে রাজনৈতিক পরিকল্পনায়। তিনি আরো বলেন তিন তালাক, বহুবিবাহ এই সমস্ত গোঁড়ামির বিরুদ্ধে দেশের প্রধানমন্ত্রী একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার ওয়াকফ সংশোধনী আইন করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি রক্ষায়। মন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলেন ত্রিপুরাতে ১৮৯৯ টি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। তার মধ্যে ৯৮০ টি ওয়াকফ সম্পত্তি নামে রেকর্ড রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন বাকিগুলি কোথায়? দীর্ঘ বাম জামানায় কেন সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তি রেকর্ড করা হয়নি। মন্ত্রী রতন লাল নাথ আরো বলেন আগরতলার গেদু মিয়া মসজিদ, চন্দ্রপুর জামে মসজিদ, রামনগর জামে মসজিদ, দক্ষিণ রামনগর কবরস্থান, চন্দ্রনগর কবরস্থান, মুন্সিবাড়ি ঈদগা সহ বহু সংখ্যক সম্পত্তি রয়েছে যেগুলি সম্পূর্ণভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ডে নেই।

( ভিডিও দেখতে প্লে বাটনে ক্লিক করে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন)

মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন প্রধানমন্ত্রী নতুন আইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষা করতে চাইছেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেগুলিতে কেন্দ্রীয় নজরদারি থাকবে। এখন কেউ চাইলেই এসব সম্পত্তি দখল নিতে পারবে না। মন্ত্রীর তথ্য নির্ভর বক্তব্য এদিন সংখ্যালঘু অংশের লোকজন অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে শুনেছেন। একইভাবে আগরতলা গেদু মিয়া মসজিদ সহ একাধিক সংখ্যালঘু সম্পত্তির ব্যাপারে সরকারি তথ্য জেনে সংখ্যালঘুদের অনেকেই অস্থির হয়ে উঠেছেন। দীর্ঘ বাম জমানায় কেন এইসব সম্পত্তি সম্পূর্ণভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে সংখ্যালঘু অংশের মধ্যে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version