Home ত্রিপুরার খবর আগরতলা খবর রাজ্যের সাংবাদিকদের বেতন মাসে মাত্র ৪০০ টাকা ! ত্রিপুরার এক জেলা সাংবাদিকের...

রাজ্যের সাংবাদিকদের বেতন মাসে মাত্র ৪০০ টাকা ! ত্রিপুরার এক জেলা সাংবাদিকের বক্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন।

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,১২ আগস্ট,,
“ত্রিপুরা রাজ্যে সাংবাদিকদের প্রতি মাসে মাত্র ৪০০ টাকা বেতন দিচ্ছে মালিকপক্ষ। সাংবাদিকদের ভাগ্যে জোটেনা পূজা অনুদান কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।”শনিবার ত্রিপুরা রাজ্যের সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন হিসেবে পরিচিত অ্যাসেম্বলি অফ জার্নালিস্ট – এর বাৎসরিক সম্মেলনে এভাবেই সাংবাদিকদের বাস্তব সত্য তুলে ধরলেন খোয়াই জেলার সাংবাদিক সজল দেব। সাংবাদিক সজল দেবের প্রতিবাদী ভাষায় এদিন মঞ্চে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রীর সামনে রাজ্যের সংবাদ জগতের মালিক শ্রেণীর একাংশের মুখ শুকিয়ে যায়। প্রসঙ্গত শনিবার আগরতলার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অ্যাসেম্বলি অফ জার্নালিস্ট-র দ্বিতীয় রাজ্য কনভেনশন। মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে এই কনভেনশনের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাণিত দেবরায়, সম্পাদক ডক্টর বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্জ, সহ অন্যান্যরা। এই কনভেনশন চলাকালীন সময়ে জেলা প্রতিনিধির হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিস্ফোরক হয়ে পড়েন সাংবাদিক সজল দেব।

শনিবার অ্যাসেম্বলি অফ জার্নালিস্ট-র সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিবাদী সাংবাদিক সজল দেব।

সাংবাদিক সজল দেব অভিযোগ করে বলেন রাজ্যের সংবাদ প্রতিষ্ঠানের মালিকরা সরকারি এবং বেসরকারি বিজ্ঞাপন পেলেও সেই তুলনায় কিছুই পাচ্ছেন না বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকরা। রাজ্যের সাংবাদিকদের বেতন এখনো মাত্র ৪০০ টাকা বলে তিনি দাবি করেন। সেই সাথে তিনি অভিযোগ করেন রাজ্যে মফস্বলের অধিকাংশ সাংবাদিক কোনদিন পূজা অনুদান পায় না। সাংবাদিকদের বেতন ভাতা এতই নগণ্য যে তারা নিজের স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যদের কাছে এই বিষয়ে কিছু বলতে লজ্জা পান। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাংবাদিক সজল দেবের প্রতিবাদী বক্তব্যে মঞ্চে উপস্থিত অনেকেরই চেহারার ধরণ পাল্টে যায়। যদিও হলের ভেতরে দর্শক আসনে থাকা সাংবাদিকরা হাততালিতে সাংবাদিক সজল দেবকে সমর্থন করেন। মালিক পক্ষের সংগঠনের সম্মেলনে গিয়ে সাংবাদিকের এই ধরনের বঞ্চনার কাহিনী শুনে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। সাংবাদিক সজল দেব ছাড়াও আরো একজন বহু পুরনো পেশাদার পত্রিকা বিক্রেতা তথা হকার এদিন নিজের বঞ্চনা এবং অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। দিনের অনুষ্ঠান শেষ হলেও মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এভাবে শ্রম বঞ্চনা নিয়ে খোদ এক সাংবাদিকের প্রতিবাদের ভাষা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। যে সাংবাদিকরা দিনরাত মাঠে ময়দানে কাজ করে সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় অবিচারের তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন তাদের শ্রমের প্রতি বঞ্চনার কাহিনী নিয়ে সাংবাদিক সজলদেবের বক্তব্য নতুন করে আলোড়ন তৈরি করেছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version