Home ত্রিপুরার খবর আগরতলা খবর রাজধানীতে পরপর দুই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার। ধর্ষণ শেষে খুনের অভিযোগ !

রাজধানীতে পরপর দুই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার। ধর্ষণ শেষে খুনের অভিযোগ !

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৩ এপ্রিল,,

বুধবার রাজধানীতে পৃথক পৃথক দুই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণ এবং খুনের । ঘটনার বিবরণে জানা যায় রাজধানী শহর সংলগ্ন পঞ্চমুখ এলাকায় এক মধ্যবয়সী মহিলার পচা গলা নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয় বুধবার সকালে। অভিযোগ উঠেছে মহিলাকে খালি বাড়িতে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে । বুধবার সকালে এই ঘটনা আমতলী থানার পঞ্চমুখ এলাকায়। মৃত মহিলার নাম মীরা দেব (৫০)। মহিলা নিজের বাড়িতে একা থাকতেন। পার্শ্ববর্তী এলাকায় তার মেয়ে এবং কয়েকজন আত্মীয় থাকলেও এই বাড়িতে তাদের যাতায়াত কম হতো। মীরা দেব রেগার কাজ এবং গৃহ পরিচারিকার কাজ করে নিজের আর্থিক রোজগারের পথ বেছে নিয়েছিলেন। গত ৮-১০ দিন যাবত মহিলাকে কেউ দেখতে পায়নি। এর মধ্যেই গত দুদিন যাবত মহিলার ঘর থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল। প্রতিবেশীদের এই দুর্গন্ধ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় খবর জানানো হয় আমতলি থানায়। বুধবার আমতলী থানার পুলিশ গিয়ে মহিলার মেয়েকে খবর দেয়। মেয়ের উপস্থিতিতে পুলিশ ঘরের ভেতরে ঢুকে। ঘরের ভেতরে বিছানার পাশে এক কোনায় মহিলার পচা-গলা নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ দেখে মেয়ে সহ প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ খালি বাড়িতে মহিলাকে কেউ ধর্ষণের পর খুন করে চলে গেছে।

তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ‌মর্গে পাঠিয়েছে।

অন্যদিকে এদিনই রাজধানীর বর্ডার গোল চক্কর এলাকায় সৃষ্টি ক্লাবে আরো এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত মহিলার নাম জুলেখা খাতুন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মহিলার স্বামীর ছেলে মেয়ে কিংবা কোন আত্মীয় নেই। দীর্ঘ বছর যাবত তিনি সৃষ্টি ক্লাবের ভেতরে এক কোনায় থাকতেন। অনেকটা ভবঘুরের মতো ঘোরাফেরা করতেন এবং এলাকার লোকজন তাঁকে খাবার খাওয়াতো। বুধবার ক্লাবের ভিতরেই ঘুমের মধ্যে মহিলার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং প্রাথমিক তদন্ত করে। পুলিশ সূত্রের দাবি এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে মহিলার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই পুলিশ মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয়তা মনে করেনি ‌ এবং সামাজিক ভাবে মহিলার শেষকৃত্য সম্পাদনের জন্য পুলিশের তরফে সম্মতি দেওয়া হয়। যদিও ক্লাব ঘরে মহিলার মৃত্যু নিয়ে স্থানীয় মহলে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version