প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, ধর্মনগর,, ২৬ এপ্রিল,,
বর্তমান লোকসভা নির্বাচনের সময়ে দেশের নির্বাচন কমিশনকে পাত্তাই দিতে চাইছেন না একাংশ রাজনৈতিক নেতৃত্ব। খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশ এবং বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদের একাংশের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিতর্কিত মন্তব্য করা রীতিমতো স্বভাবে পরিণত হয়ে গেছে। কেউ নির্দিষ্ট একটি জাতিকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে ঘৃণা ভাষণ রাখছেন, তো কেউ বিরোধী নেতাদের মাটির নিচে চাপা দেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছেন। আবার একাংশ সরব প্রচার শেষ হওয়ার পরেও খোদ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য রেখে আশেপাশে থাকা ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের এভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরা রাজ্যের মন্ত্রী টিংকু রায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় ত্রিপুরার পূর্ব আসনের ভোট চলছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন রয়েছে।

অভিযোগ ভোটারদের সেই লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন মন্ত্রী টিংকু রায়। মন্ত্রী টিংকু রায় এদিন ৫৪ নং কদমতলা-কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫১ নাম্বার বুথে ভোট দিতে যান । সেখানে তিনি কিছুক্ষণ ভোটারদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে ভিতরে গিয়ে ভোট দেন। অভিযোগ ভোটারদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের সাথে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বিরোধী কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করেছেন মন্ত্রী টিংকু রায়। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন “অনেক মানুষের রক্তের বিনিময়ে কংগ্রেস রাজনীতিটা করতো। এখানে অনেক মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে এই বিরোধী রাজনীতি করতে গিয়ে। তার উপর দাঁড়িয়ে তারা এলাইন্স করেছে। সে গুলো কিন্তু মানুষ ভোটের বাক্সে জমা দেবে।”
তিনি আরো বলেন “প্রখর রৌদ্রে মানুষ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। এটা প্রমাণ করছে আমরা স্বপ্ন দেখছি বিকশিত ভারত ভারত নির্মাণ। ‘আমার মতোই’ ১৪০ কোটি মানুষ স্বপ্ন দেখছে এই ভারতকে শ্রেষ্ঠত্বের দিকে নিয়ে যাওয়ার। তার জন্যই মানুষের মধ্যে এত উৎসাহ ভোটের জন্য।” মন্ত্রী টিংকু রায়ের এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যম এবং সংবাদে ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিভিন্ন মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলের একাংশ এই বক্তব্য নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছেন। তাদের অভিযোগ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মন্ত্রীর এই বক্তব্য আশেপাশে থাকা ভোটারদের প্রভাবিত করছে। যা নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ অনুযায়ী চূড়ান্ত বেআইনি। ভোট দেওয়ার প্রাক মুহূর্তে মন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্য ভোটারদের মধ্যে সরাসরি ‘সাইকোলজিক্যাল প্রভাব তৈরি করবে’ এবং তারা বিভ্রান্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। মন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে বিরোধীদল আগামী দিনে নির্বাচনে কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে বলে জানা গেছে।
সকাল দশটা পর্যন্ত ভোট পড়ল ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ
অন্যদিকে শুক্রবার সকাল থেকে যথারীতি পূর্ব আসনে ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া চলছে । ভোটাররা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। কয়েক জায়গায় ইভিএমের গন্ডগোলে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। তবে সকাল দশটা পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে প্রাথমিক খবর রয়েছে।