Home ত্রিপুরার খবর জেলার খবর ভোটের মুখে ডাকাতি: সীমান্তে বাড়ল নিরাপত্তা। তিন মাসের জন্য জারি হলো ১৪৪...

ভোটের মুখে ডাকাতি: সীমান্তে বাড়ল নিরাপত্তা। তিন মাসের জন্য জারি হলো ১৪৪ ধারা।

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, বিশালগড়,, ১৩ মার্চ,,

লোকসভা নির্বাচনের মুখে রাজ্যে পরপর ডাকাতির ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কিছুটা চাপে রয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ডাকাতির ঘটনার সপ্তাহ বাদেও পুলিশ তদন্তে কোন সাফল্য উঠে আসছে না। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারছে না। পুলিশের তরফের দাবি করা হচ্ছে ডাকাত দল অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে বাংলাদেশ থেকে এসে ডাকাতি করে ফের পালিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে রয়েছে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের নিরাপত্তা। পরিস্থিতি যাচাই করার পর এবার ভোটের মুখে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা সুষ্ঠু রাখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একাংশে জারী করা হল ১৪৪ ধারা। সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক গত ১১ মার্চ ২০২৪ তারিখে সিপাহীজলা জেলার সোনামুরা এবং বিশালগড় মহকুমার সীমান্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এই নির্দেশ অনুযায়ী আগামী তিন মাস পর্যন্ত রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সীমান্তের ২০০ মিটারের মধ্যে নাগরিকদের অবাধ চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বিএসএফ ,পুলিশ ,জেলা এবং মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক ‌সহ জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্তরা এই বিধিনিষেধের বাইরে থাকবেন। বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ থেকে আগামী তিন মাসের জন্য এই নির্দেশ জারি থাকবে বলে জানা গেছে। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন বিশালগড়ের মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী ।

মহকুমা শাসক বলেন নির্বাচনের নিরাপত্তার পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রাখার জন্যই এই নির্দেশে জারি হয়েছে। তবে প্রশাসনিক এই নির্দেশ নিয়ে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী সংখ্যালঘু অংশের নাগরিকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বলে খবর। কারণ এখন সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের রমজান মাস চলছে। রমজান মাসে রাত ৭টা পরে বিভিন্ন মসজিদে তারাবির বিশেষ নামাজ হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা দলবেঁধে এই নামাজে অংশ নেন। প্রায় ঘন্টাধীক সময় এই নামাজ চলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ৯ টা কিংবা ১০টা পর্যন্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ধর্মীয় কাজে মসজিদ এবং বাড়ি ঘরে যাতায়াত করতে হয়। ঠিক এই সময়ে রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে প্রশাসনের এই নির্দেশ ধর্মীয় আচার-আচরণ পালনের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হবে বলে একাংশের অভিযোগ।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version