বিশেষ প্রতিনিধি,, বিশালগড়,, ১ জানুয়ারি,,
ট্রাফিকের কোন অফিসার পদে নেই। তার কাঁধে না আছে তারা গাঁথা, না আছে কোন অতিরিক্ত ক্ষমতা। কিন্তু তারপরও বিশালগড়ে এখন ট্রাফিক পুলিশের পরিচয় হয়ে উঠেছেন সোহেল রানা। ত্রিপুরা পুলিশের কনস্টেবল পদে ২০১২ সালে যোগ দিয়েছিলেন সোহেল । এসপি অফিস থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার । বিভিন্ন থানা কাটিয়ে ২০২০ সালের প্রথমদিকে পোস্টিং হয়েছে বিশালগড়ের ট্রাফিক ইউনিটে। বিগত কয়েক বছরে বিশালগড় ট্রাফিক ইউনিটে বিভিন্ন অফিসার থাকলেও সোহেল রানার নামটি যেন সবার মুখে । ডিউটিতে নিজেকে সব সময় সক্রিয় রাখেন সোহেল। কখনো গতি পরিমাপক যন্ত্র হাতে জাতীয় সড়কের উপর, তো কখনো ফাইন কাটার মেশিন হাতে নিয়ে রাস্তার ভিড় বহুল জায়গা গুলিকে স্বাভাবিক করানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সোহেলকে। বিশালগড়ের সমস্ত গাড়ি চালক, বাইক চালক এক ডাকেই চেনেন সোহেলকে।তার কাছে যেমন রয়েছে ট্রাফিকের কড়া আইন বিধি তেমনি রয়েছে উদার মানসিকতা। বিশালগড়কে সড়ক সুরক্ষিত করে রাখতে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করছেন খোদ পুলিশ আধিকারিকরা।

বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান ও ছোটদের ভালোবেসে ট্রাফিক নিয়ম শিখিয়ে দিচ্ছে সোহেল। ডিউটির মধ্যে প্রায়ই দেখা যায় রাস্তা পার করতে না পারা বৃদ্ধ ,স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী কিংবা ছোটদের দিকে নজর রাখছেন সোহেল। হাত ধরে নৌকার মাঝি সেজে এপার থেকে ওপার রাস্তা পার করিয়ে দিচ্ছেন তাদের। তার এই কর্তব্যপরায়ণতায় বিশালগড়বাসি প্রশংসা করছেন গোটা ট্রাফিক ইউনিটের।