সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২৩ জানুয়ারি,,
বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার পেল ত্রিপুরার ১৬ বছরের নাবালিকা জ্যোৎস্না আক্তার। দারিদ্রতার কারণে জ্যোৎস্না আক্তারকে ১৩ বছর বয়সে বিয়ে দিতে চাইছিল তার মা বাবা। কিন্তু বিয়ের একদিন আগে জ্যোৎস্না নিজের স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় সেই বিয়ে ফিরিয়ে দেয়। তারপর বিলোনিয়া আমজাদ নগর পি এম শ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের বালিকা মঞ্চের অধ্যক্ষ বানানো হয় জ্যোৎস্নাকে। সেই কমিটির চেয়ারম্যান স্কুলের শিক্ষিকা অদিতি সরকার। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুব্রত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে স্কুলের বালিকা মঞ্চ এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় জ্যোৎস্না আক্তার গত তিন বছরে আমজাদ নগর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার দশটির বেশি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। তার এই সামাজিক আন্দোলনের জন্যই প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার ২০২৪ এর জন্য সে মনোনীত হয়।সোমবার ২২ জানুয়ারি দিল্লি বিজ্ঞান ভবনে জ্যোৎস্না আক্তারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার এবং সম্মান পত্র তুলে দেন দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ‘ মহিলা এবং শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের’ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে দেশের ১৯ জন নাবালক এই জাতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের চার জনের মধ্যে ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী গ্রাম আমজাদ নগরের জ্যোৎস্না আক্তার একজন।