প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১৮ এপ্রিল,,
পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে এবার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠল পূর্ব ত্রিপুরা আসনে। অভিযোগ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ছাপ্পা ভোট দিচ্ছেন শাসক দলীয় একাংশ। অভিযোগ শাসকদলের এই ছাপ্পা ভোটে সহযোগিতা করছে নির্বাচনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত একাংশ কর্মচারী। ইতিমধ্যেই ছাপ্পা ভোটের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে ভোটারের একান্ত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে ভোটারকে হাত দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ভোট দিতে বলছেন এক যুবক। অভিযোগ সেই যুবকের নাম সুব্রত চৌধুরী। তিনি স্থানীয় শাসক দলীয় নির্বাচনী এজেন্টের গাড়ি চালক বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও সহ ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট এসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সিপিআইএম সাবরুম সাব ডিভিশন কমিটির সম্পাদক অরুণ ত্রিপুরা ।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় আগামী ২৬ এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা আসনে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে যে সমস্ত বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না তাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট সংগ্রহ করা হচ্ছে। অভিযোগ এভাবে ভোট গ্রহণ করতে গিয়ে ওই ছাপ্পা ভোট দিচ্ছেন শাসক দলীয় একাংশ। অভিযোগ ১৭ এপ্রিল বুধবার ৪০ সাব্রুম বিধানসভা এলাকার টাক্কাতুলসী এডিসি ভিলেজের কানালবাড়ীতে বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এই ভোট গ্রহণের কাজে নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের সাথে ছিলেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা। অভিযোগ উঠেছে কানালবাড়ীতে প্রায় প্রত্যেক ভোটারদের ভোট দিয়ে দিয়েছেন বিজেপি দলের এজেন্টের গাড়ীর চালক সুব্রত চৌধুরী। এই সমস্ত ঘটনা নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীদের সামনেই হচ্ছে বলে অভিযোগ। আরো অভিযোগ এই ছাপ্পা ভোটের বিষয়ে সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস দলের এজেন্টরা সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট তথা সাতচাঁদ পূর্ত দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার স্বপন দাসের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেন। সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন দাস এই অভিযোগের কোন কর্ণপাত করেননি। উল্টো বিরোধী দলের নির্বাচনী এজেন্ডদের ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই এই ধরনের ছাপ্পা ভোটের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে চলে এসেছে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের একাংশ আধিকারিকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিপিআইএমের তরফে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে শুক্রবার সকাল থেকে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ঠিক আগ মুহূর্তে এই ধরনের অভিযোগ এবং ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় তৈরি হতে পারে বলে তথ্যবিজ্ঞ মহলের অভিমত।