সাংবাদিক প্রতিনিধি,, সোনামুড়া,,২ অক্টোবর,,
গরু পাচারকারী সন্দেহে একটি যুবককে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে এই ঘটনা ইন্দু বাংলা সীমান্তের ত্রিপুরা সোনামুড়া মহাকুমার দুর্গাপুরে। বিএসএফের গুলিতে মৃত যুবকের নাম আলমগীর হোসেন। তার বয়স ৪৮ বছর। তিনি এলাকার স্থানীয় নাগরিক। অভিযোগ পাচারকারী অভিযোগ এনে বিএসএফের ১৩৩ নম্বর বাহিনী জোয়ানরা আলমগীরকে গুলি করে খুন করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দুর্গাপুর এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।ঘটনার বিবরণে জানা যায় সোনামুড়ার সীমান্ত ঘেঁষা দুর্গাপুর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ডুগারা এলাকাটিতে এখনো কাঁটাতারের বেড়া হয়ে পড়েনি। ফলে এই এলাকাটি এখনো আন্তর্জাতিক পাচারকারীদের পাচারের মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রবিবার গভীর রাতে সেই অঞ্চল দিয়ে একদল পাচারকারী বাংলাদেশে গরু পাচার করার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পায় সীমান্তে পাহারারত বি.এস.এফ ১৩৩ নম্বর বাহিনীর জোয়ানরা। বিএসএফ এর দাবি ,কর্তব্যরত বি.এস.এফ জোয়ানরা পাচারকারীদের ধাওয়া করলে পাচারকারীরা পাল্টা আক্রমণ করে বিএসএফে জোয়ানদের ওপর। বাধ্য হয়ে বি.এস.এফ গুলি চালায় । তখন এই বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় আলমগীর হোসেনের। বিএসএফের দাবি আলমগীর হোসেন গরু পাচারকারী ছিল। কিন্তু এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন বিএসএফ ইচ্ছাকৃতভাবে আলমগীরকে খুন করেছে। আলমগীর হোসেনের পরিবারের দাবি, বিএসএফ পাচারকারীদের ধাওয়া করলেন তারা দৌড়ে তাদের বাড়ির উপর দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন আলমগীর ঘর থেকে বের হলে বিএসএফ তার উপর গুলি চালিয়ে দেয়। আলমগীর হোসেন কোনভাবেই পাচারকার্যে যুক্ত ছিল না বলে তার পরিবারের দাবি । বিএসএফের গুলিতে স্থানীয় নাগরিকের মৃত্যুর খবরে মুহুর্তের মধ্যে এলাকাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধভাবে বিএসএফের গাড়ি এবং জওয়ানদের ঘেরাও করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতের পরিবার এবং বিএসএফ পৃথক পৃথকভাবে পুলিশে অভিযোগ জমা করেছেন বলে জানা গেছে।