সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,১ ডিসেম্বর,,
ত্রিপুরার সোনামুড়া মহকুমাতে একসঙ্গে একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে, মেলাঘর থানাধীন ঠাকুরপাড়া ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। সকালে ঘরের ভেতরে উদ্ধার হয় একই পরিবারের বৃদ্ধ – মা বাবা সহ যুবতী মেয়ের মৃতদেহ। মৃতদের নাম যথাক্রমে চিন্তা হরণ পাল (৭২), প্রতিমা পাল (৫৫) এবং তাদের ২০ বছরের যুবতী মেয়ে মনিকা পাল। চিন্তা হরণ পাল পেশায় একজন মৃৎশিল্পী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠেছে প্রচন্ড অভাবের তাড়নায় তিনি পরিবার মিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

শুক্রবার সকালে ঘরের মধ্যে বিছানার উপরে তাদের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। মা এবং বাবার মাঝখানে ছিল কলেজ পড়ুয়া যুবতী মেয়ের মৃতদেহ। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছে তারা বিষ পান করে বিছানার উপর ঘুমিয়ে পড়েন। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাড়া শব্দ না পাওয়াতে পাশের বাড়ি থেকে চিন্তা হরন পালের ভাই গৌরাঙ্গ পাল এসে তাদের ডাকাডাকি শুরু করেন। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করার পর জানালা দিয়ে দেখতে পান বিছানার উপর পরিবারের তিনজনের নিথর দেহ রয়েছে।
গৌরাঙ্গ পালের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় মেলাঘর থানায়। পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা তারা তিনজন বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এই বিষয় নিয়ে সঠিক তদন্তের আগে পুলিশ নিশ্চিত করে মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না। অন্যদিকে মৃত চিন্তা হরণ পালের ছোট ভাই গৌরাঙ্গ পাল বলেন গত কয়েক বছর যাবতই তারা আর্থিক অনটন সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছিলেন। সমস্যা জর্জরিত জীবনে চিন্তা হরন পাল আগেও কয়েকবার আত্মহত্যার কথা বলেছেন। তিনি কোন কারনে ভয় পেতেন এবং মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। সেই অবসাদ থেকেই তিনি এই ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু হয়েছে।