সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৩০ সেপ্টেম্বর,,,
ভারত সরকার গ্রেটার তিপড়া ল্যান্ডের দাবি না মানলে আগামী দিনে অশান্ত আন্দোলনের পথে হাঁটতে পারে তিপড়া মথা ! গ্রেটার তিপড়া ল্যান্ডের দাবিতে ১২ ঘন্টার এডিসি ধর্মঘটে পিকেটিং করতে গিয়ে শনিবার এমনই হুমকি দিয়েছেন একাংশ তিপড়া নেতৃত্ব। তাদের দাবি ভারত সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরায় যদি পৃথক তিপড়া ল্যান্ড তৈরি না করেন তাহলে আগামী দিনের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে না। প্রসঙ্গত গ্রেটার তিপড়া ল্যান্ডের দাবিতে শনিবার ত্রিপুরার এডিসি এলাকায় ১২ ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মনের তিপড়া মথা দল। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এডিসি এলাকায় ধর্মঘটের পূর্ব ঘোষণা ছিল। রাজ্য সরকারের তরফে ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। বরং এডিসি এলাকায় ধর্মঘটের নামে বিভিন্ন স্থানে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে এদিন গোটা ত্রিপুরা রাজ্যকে স্তব্ধ করে দেয় তিপড়া মথার কর্মী সমর্থকরা। এডিসি এলাকায় বিভিন্ন স্থানে জাতীয় সড়কে অবরোধের ফলে এদিন সঠিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। ফলে সমতলের বিভিন্ন অফিস-আদালতে কর্মীরা অফিসে পৌঁছাতে পারেননি এবং ধর্মঘটের প্রভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপনে প্রভাব পড়ে। এদিন সকাল থেকেই খুমলুঙ এডিসি সদরের প্রবেশপথে অবরোধ তৈরি করেন পিকেটাররা।

রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে , বাঁশ দিয়ে বেরিকেট তৈরি করে অবরোধ তৈরি করা হয়। এডিসি এলাকাতে খুলতে দেওয়া হয়নি দোকানপাট এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি স্কুল, কলেজ ,অফিস। চলতে দেওয়া হয়নি যানবাহন। বড়মুড়াতে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে অবরোধ তৈরি করা হয়। ধর্মঘটের নামে বিশালগড়, বক্সনগর, গোলাঘাটি, সিধাই মোহনপুর সহ রাজ্যের অর্ধশত স্থানে রাস্তায় অবরোধ তৈরি করা হয়েছিল বলে খবর। ফলে গোটা রাজ্যে ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে।
তবে এদিনের ধর্মঘটে সামরিক বাহিনীর যানবাহন থেকে শুরু করে এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস এর মত জরুরি পরিষেবার যানবাহনের চলাচলে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। দুপুর পর্যন্ত ধর্মঘট উঠানোর ক্ষেত্রে ত্রিপুরা সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন কোন ধরনের জোর জবরদস্তি করেনি বলে ধর্মঘট অধিকাংশেই শান্তিপূর্ণ রয়েছে। তবে আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আন্দোলন হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন একাংশ মথা নেতৃত্ব। তাদের দাবি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইতিপূর্বে যেভাবে পৃথক রাজ্য তৈরি করা হয়েছে, ঠিক সেই ভাবেই সংবিধান সংশোধন করে ত্রিপুরায় পৃথক গ্রেটার তিপড়া ল্যান্ড করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তা না করলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তিপড়া মথা। সেই আন্দোলন আজকের মতো শান্তিপূর্ণ নাও থাকতে পারে বলে তারা স্পষ্ট ভাষায় হুমকি দিয়েছেন।