Home ত্রিপুরার খবর গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত নর্থইস্ট ট্যুরিজম কনক্লেভ: উত্তর পূর্বাঞ্চলে সবুজ পর্যটনের উপর বিশেষ...

গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত নর্থইস্ট ট্যুরিজম কনক্লেভ: উত্তর পূর্বাঞ্চলে সবুজ পর্যটনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ।

0

গুয়াহাটি,,১৮ ফেব্রুয়ারি,,

উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবুজ প্রকৃতিকে সংরক্ষণের মাধ্যমে কিভাবে পর্যটন শিল্পকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নত করা যায় তার উপর একটি বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গুয়াহাটিতে। ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত “নর্থইস্ট টুরিজম কনক্লেভ”তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের পর্যটন সম্মেলন শীর্ষক এই সম্মেলন পরিচালনা করেন সঙ্গীতা শইকিয়া। তিনি প্রকৃতির সবুজকে সংরক্ষনের মাধ্যমে কিভাবে পর্যটন শিল্পকে উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পর্যটন শিল্প একটি বিশাল সুযোগ। উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবুজ সংরক্ষণ, বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী,গ্রাম- পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের চিরাচরিত খাদ্য ,পোশাক, ঐতিহ্যের প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পর্যটন শিল্পকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা যাবে। এছাড়াও এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক পরিচালক অনিল ওরাও, উৎপল বড়ুয়া , বর্দোলোই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান আধিকারিক লোকপ্রিয়া গোপীনাথ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের সভাপতি অমিতাভ দে, হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন পরামর্শদাতা ত্রিদীপ শর্মা, সহ অন্যান্যরা। সম্মেলনে মৌসুম হাজারিকা, সোনাপুর, প্রাগজ্যোতিষ কলেজ এবং কটন কলেজের পর্যটন বিভাগের প্রভাষক এবং দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারী হোটেল ও রেস্টুরেন্ট এসোসিয়েশনের পরামর্শক ত্রিদীপ শর্মা প্রকৃতির সঙ্গে সহাবস্থানের মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।অরিজিৎ পুরকায়স্থ আসামের লুকানো রত্নগুলির বিষয়ে আগ্রহ জাগিয়ে তোলার জন্য বিশ্বের কাছে দেখানো কথা বলেন। তিনি যোগ করেছেন, ‘এই সমস্ত কম পরিচিত গন্তব্যগুলির একটি গল্প বলার আছে এবং এটি হাইলাইট করা দরকার। একজন ভ্রমণকারীর যাত্রা তার গন্তব্যের মতোই আকর্ষণীয় হওয়া উচিত।সোনাপুর কলেজের প্রভাষক স্বপ্না মেধী কীভাবে দায়িত্বশীল পর্যটন একটি দীর্ঘস্থায়ী ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামীণ সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।সেমিনারের অন্যতম মডারেটর রঞ্জিত দাস বলেন , “যদি পর্যটনের একটি টেকসই ভবিষ্যৎ পেতে হয়, তাহলে আমাদের অবশ্যই আমাদের মনোযোগ পুনর্নির্দেশ করতে হবে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের মঙ্গল ও স্বার্থকে সামনে রাখতে হবে। আমাদের অবশ্যই প্রকৃতিকে সম্মান করার, সংস্কৃতিকে সম্মান করার এবং স্বাগতিকদের সম্মান করার ধারণা নিয়ে পর্যটন গড়ে তুলতে হবে,”।অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র অফিসার মৌসুম হাজারিকা বলেন, “উত্তর পূর্ব বরাবরই প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের জন্য একটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। এটি প্রধানত তার গভীর বন, বিপন্ন প্রাণী, গভীর নদী এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের জন্য পরিচিত। যাইহোক, এই রাজ্যে আরও অনেক পর্যটন উপাদান রয়েছে যা এখনও আলোচনা করা দরকার,”। “আমরা যখন কৃষি পর্যটনের কথা বলি তখন চা পর্যটন একটি প্রধান খাত হবে,” তিনি যোগ করেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version