আগরতলা,, ১১ ফেব্রুয়ারি,,
ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে এসে শাসকদল বিজেপি সহ সিপিআইএম- কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। ৫৯ পেচারথল বিধানসভা কেন্দ্রের কাঞ্চনপুরে তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী পূর্ণীতা চাকমার সমর্থনে শনিবার সন্ধ্যায় একটি রাজনৈতিক সভার আয়োজন হয়েছিল। সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গের যুব তৃণমূল নেত্রী তথা অভিনেত্রী শায়নী ঘোষ।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে সায়নী ঘোষ বলেন নির্বাচন আসলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখা মিলে। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে তাদের খোঁজ থাকে না। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচনের আগে এসে শুধুমাত্র মিথ্যা প্রতিশ্রুতি গাইতে পারেন। কিন্তু ভোটের পর তারা সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন না।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বঙ্গের নির্বাচনের আগে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীদের একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন। একই সাথে সায়নী ঘোষ বলেন একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি -ই কথা এবং কাজ এক করে দেখিয়েছেন। দিদিই পারেন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করতে।
একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই দিদির কল্যাণে মহিলারা লক্ষীর ভান্ডারে টাকা পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আছেন বলেই পশ্চিমবঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য সাথী যোজনায় গরিব মেহনতি মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন। সায়নী ঘোষ আরো বলেন ত্রিপুরাতে কোন সরকারই প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন করেনি। কংগ্রেস ,সিপিএমের পর গত পাঁচ বছরে বিজেপির সরকার দেখেছেন নাগরিক সমাজ। কিন্তু কেউ রাজ্যের এবং রাজ্যের নাগরিকদের প্রকৃত উন্নয়ন করেনি। একমাত্র তৃণমূল সরকার আসলেই ত্রিপুরার প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন একমাত্র নাগরিকরাই পারে ভোট দিয়ে তৃণমূলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে। ত্রিপুরার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী দিনে তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য তিনি নাগরিকদের আহ্বান জানান। এদিনের এই সমাবেশে সায়নী ঘোষ সহ উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুস্মিতা দেব, এই কেন্দ্রের প্রার্থী পূর্ণীতা চাকমা সহ অন্যান্যরা। এদিন তৃণমূলের সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে পাঁচ পরিবারের ১২ জন ভোটার তৃণমূল দলে যোগদান করেন।
তৃণমূলের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এদিন স্থানীয় নাগরিক মহলে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং উৎসাহ লক্ষ্য নিয়েছিল।