প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৩১ জুলাই,,
মা বাবার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে বাইরে থাকতে চাইছেন এক যুবতী মেয়ে। সে পুলিশকে আগাম জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে গিয়েছিল কলকাতায়। কিন্তু সেই যুবতীর মা-বাবা এবং একটি নির্দিষ্ট সংগঠন যুবতীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং সামাজিক গুজব তৈরি করে। গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় যুবতী মেয়ে নাকি কোন এক মুসলিম ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। এই ধরনের গুজব নিয়ে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করার জন্য একাংশ ষড়যন্ত্র শুরু করে। অবশেষে সামাজিক স্বার্থে নিজের মা বাবার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন সেই প্রাপ্ত বয়স্কা শিক্ষিতা যুবতী মেয়ে। প্রসিধা নামে রাজধানী আগরতলার গ্যান্ডুইজ এলাকার সেই যুবতী বুধবার কলকাতা থেকে ছুটে আসেন আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায়। সাংবাদিকদের সামনে প্রসিধা নিজের স্বাধীনচেতা মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ করেন।
প্রসিধা পূর্ব মহিলা থানায় সাংবাদিকদের সামনে জানিয়ে দেয় মুসলিম ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণই গুজব। এই গুজব রটনা করেছে তার মা বাবা এবং একটি নির্দিষ্ট সংগঠন। প্রসিধা বণিক নিজের ব্যবসায়ী বাবা এবং মায়ের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। প্রসিধার দাবি তার মা-বাবা তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে এর আগেও একবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তখন তার মা বাবা পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। পুলিশের কথা মেনে সে তখন তার বাড়িতে গেলেও তার বাবা দরজায় তালা মেরে তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ । মা বাবার ব্যবহার তার পছন্দ নয়। তাই কিছুদিন আগে সে দ্বিতীয়বার বাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করে। এবার সে পূর্ব মহিলা থানার পুলিশকে আগাম জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়। কিন্তু তারপরও তার পরিবার মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে মহিলা থানায়। অভিযোগ করা হয় সে নাকি মুসলিম ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করে। এসব খবর পেয়ে সামাজিক স্বার্থে প্রসিধা আগরতলায় চলে আসে এবং স্পষ্টিকরন দেয় । সে আরো জানায় তার মা বাবার সাথে থাকবে না এবং দিনে দিনেই কলকাতায় ফিরে যাবে। পূর্ব মহিলা থানার ওসি প্রসিধা বণিকের বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন মেয়েটি তার মা-বাবার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সামাজিক সম্মানের স্বার্থে সংবাদে মেয়েটির মা বাবার পরিচয় দেওয়া হয়নি।