Home ত্রিপুরার খবর অভয়নগর থেকে শুরু করে ব্রহ্মছড়ায় অশান্তি! প্রজাতন্ত্র দিবসের নিরাপত্তায় প্রশ্নচিহ্ন?

অভয়নগর থেকে শুরু করে ব্রহ্মছড়ায় অশান্তি! প্রজাতন্ত্র দিবসের নিরাপত্তায় প্রশ্নচিহ্ন?

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২৭ জানুয়ারি,,

২৫ জানুয়ারি, ত্রিপুরা পুলিশের ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসা করেছিলেন ত্রিপুরা পুলিশের বর্তমান কাজকর্ম নিয়ে।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রশংসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার চরম ঘাটতি সামনে উঠে এল। প্রজাতন্ত্র দিবসের তথাকথিত শক্তপোক্ত নিরাপত্তার মধ্যেই রাজ্যের পৃথক জায়গায় হামলা হামলা হুজ্জতির অভিযোগ রয়েছে। ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আগরতলার অভয়নগরে পুলিশের এক ডিএসপির ছেলের নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সেই ঘটনায় ডিএসপির ছেলে এবং মেয়েকে অমানবিকভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ পুলিশ সেখানে আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে ডিএসপির ছেলের পক্ষ নিয়ে এক ডাক্তারকে বেধড়ক মারধর করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। ২৫ জানুয়ারির রাতে সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ২৬ জানুয়ারি রাতে জাতিগত হিংসার অভিযোগ উঠে তেলিয়ামুড়ার ব্রহ্মছড়া পঞ্চায়েতের এক নম্বর ওয়ার্ডে। তেলিয়ামুড়া আর ডি ব্লকের অন্তর্গত ব্রহ্মছড়া কলই পাড়া এলাকায় প্রায় চোদ্দটি বাঙালি পরিবারকে উচ্ছেদ করতে তাদের নির্মীয়মান ঘরবাড়ি ভেঙ্গে তছনছ করা হয়েছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের রাতে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাঙালি অংশের অভিযোগ এই হামলার পেছনে জনজাতি একাংশের নেতৃত্ব রয়েছে। বাড়িঘর ভাঙার পর রাস্তায় লিখে দেয় “গো ব্যাক বাংসা বুসা”।

এখানেই শেষ নয় ভয়ানক হুঁশিয়ারি হিসেবে এই এলাকার রাস্তায় লিখে দেওয়া হয়েছে “রেড জোন ।”

ঘটনার পর এলাকার বাঙালি অংশের লোকজন চরম আতঙ্কে রয়েছেন। নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার তারা রাস্তা অবরোধে শামিল হন এবং এলাকাতে টিএসআর ক্যাম্প বসানোর দাবি তোলেন। পরে উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ফোন কল করে দিনে দিনে টিএসআর ক্যাম্প বসানোর আশ্বাস দিয়ে রাস্তা অবরোধ মুক্ত করেন বলে খবর। কিন্তু ২৬ জানুয়ারি রাতে এক যোগে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় বাঙালি বাড়ি ঘর হামলার ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একাংশের অভিযোগ এই হামলার পেছনে তিপরা মথা সুপ্রিমোর উস্কানি রয়েছে। অনেকে আবার এই ঘটনার পেছনে ২৫ জানুয়ারি রাতে আগরতলার অভয়নগরে সংঘটিত ঘটনার যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন। অভিযোগ যে ডিএসপির ছেলে মেয়েকে অভয়নগরে মারধর করা হয়েছিল সেই ডিএসপির আত্মীয় রয়েছেন তেলিয়ামুড়া ব্রহ্মছরাতে। তাই ডিএসপির ছেলে মেয়ের উপর মারধরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই হামলা নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

একইভাবে ২৬ শে জানুয়ারি রাতে সোনামুড়া মহকুমার কয়েকস্থানে সিপিআইএম দলীয় কার্যালয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে বাড়িঘরে হামলার।

তবে এসব ঘটনায় রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা মোটেও সন্তোষজনক নয় তা ফের একবার প্রকাশ্যে উঠে এসেছে বলে সচেতন মহলের অভিমত।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version