Home ত্রিপুরার খবর আগরতলা খবর ২৪-সে দেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে বিজেপি ! রাজভবন অভিযানে হুংকার সিপিআইএম রাজ্য...

২৪-সে দেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে বিজেপি ! রাজভবন অভিযানে হুংকার সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর

0

আগরতলা,,২৩ নভেম্বর,,

২৪ শের লোকসভা নির্বাচনে দেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে বিজেপি! সেটা বুঝে গেছেন বলেই দলের নেতা-মন্ত্রীরা আবোল তাবোল বলছেন ও কাজ করছেন। মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে মানুষকে কোনঠাসা করে ফেলেছেন মোদী সরকার। মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে এবার জবাব দেবার সময় হয়েছে। ত্রিপুরার জনগণকে ব্যর্থ সরকারকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত হবার আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।বৃহস্পতিবার ছিল ত্রিপুরা তপশিলী জাতি সমন্বয় সমিতি ও ত্রিপুরা ক্ষেত মজুর ইউনিয়ন সহ সাতটি সংগঠনের আহুত দলিত অধিকার ও সামাজিক ন্যায় সহ ১৭ দফা দাবি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় রাজভবন অভিযান।

বিশাল মিছিল সমস্ত শহর ঘুরে সার্কিট হাউসের কাছে পৌছুলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। সেখানেই মিছিলকারীরা সভার কাজ শুরু করে দেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।

কেন্দ্রীয় মোদি সরকার ও রাজ্য সরকারকে একসাথে তিনি তীব্র আক্রমণ হেনে বলেন শ্রমজীবী মানুষ তাঁদের মজুরি পান না, কর্মচারিরা ও পুলিশ কর্মীরা তাদের পাওনা পাচ্ছেন না, উপজাতিরা অন্নহীন দিন কাটাচ্ছে অন্যদিকে দেদার অর্থের লুট চলছে।মা তাঁর সন্তান বিক্রি করছে, সন্তানের মুখে খাবার না তুলে দিয়ে মা বিষ খাইয়ে একসাথে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন । এসব ঘটনা ত্রিপুরার মানুষ এখন দেখছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী ও তার পারিষদরা কারনিভাল করে অর্থ উড়িয়ে চলেছেন যেন ওনাদের পিতৃদেবের টাকা ।তিনি বলেন ক্যানভাস ব্যাগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মানুষ ঘৃণাভরে ঐ ব্যাগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

শ্রমজীবী মানুষ রেশনের চাল কিনতে পারেন না আরেক মন্ত্রী নিজের কেন্দ্রে মহিলাদের জামদানি শাড়ি বিলি করেছেন। জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন ঐ মন্ত্রী কোথায় এত টাকা পেলেন? তিনি জানতে চান কোথায় ই ডি, সিবিআই? এরা কি শুধু মিথ্যা মামলায় মোদী বিরোধীদের ফাঁসাতেই আছেন ? যে টাকা লুট হচ্ছে সেগুলো গরীব মানুষের রক্তজল করা টাকা, রাস্তা বানানোর টাকা, জনগণকে জল দেবার টাকা।তিনি বলেন ব্যাঙ্ক, বিমা রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিক্রি করে তিনি মহাগুরুর সঙ সেজেছেন।এদিকে দেশ বিশ্ব ক্ষুধায়, বেকারত্বে বিশ্বে একেবারে সামনের সারিতে।রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা তলানিতে এসেছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন গত ৮ ই সেপ্টেম্বর দীপশ্রী দাসকে আগরতলা থেকে সাবরুম তুলে নিয়ে গিয়ে এক বিজেপি নেতা অকথ্য অত্যাচার করে। পরে মেয়েটি মারা যায় এই খুনের সাথে যুক্ত ঐ খুনিদের সব বৃত্তানত পুলিশের মহা নির্দেশকের কাছে থাকার পরও ৭৫ দিন হয়েছে ঐ বিজেপি নেতা ও তার শাকরেদরা গ্রেফতার হননি। তিনি বলেন এমন বহু ঘটনা আছে। এসব দেখেই মানুষের সিদ্ধান্ত ছিল পালটে দেবার, কিন্তু দেদার কালো টাকা ও একটি সুবিধাবাদী নব্য রাজনৈতিক দলের উচ্চাকাঙ্ক্ষা মানুষের আশাকে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়াতে দেয়নি।তিনি বলেন এই রাজ্যে বিজেপির মদতে ক্রিশচানদের সাথে বিরোধ বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে ধর্মীও সুরসুরি দিয়ে। আজ তিনি সবাইকে সতর্ক করে দেন।তিনি সুশাসনের ফিরিস্তি তুলে বলেন হাসপাতালে ওষুধ নেই, ডাক্তার নেই অথচ এখন লাখ লাখ টাকার কোভিডের মাস্ক টেস্টিং কিট দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ এদের ক্ষমতা থেকে সড়িয়ে দেওয়া। এর চুড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সভায় তথ্য সমৃদ্ধ বক্তব্য রাখেতে গিয়ে সুধন দাস বলেন আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর পার্লামেন্ট অভিযানে এই রাজ্যে থেকে শতাধিক শ্রমজীবী মানুষ অংশ নেবেন। পরে বক্তব্য রাখেন শ্যামল দে, ভানু লাল সাহা ও রতন ভৌমিক। এরপর রাজভবনে গিয়ে সুধন দাস,শ্যামল দে,মনিন্দ্র দাস, দিলীপ দাস, বিপদ বন্ধু ঋষিদাস ও পার্থ বাসফোর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version